বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় যুক্তদের ছাড়া হবে না: বর্ধমানে বললেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্রা গুপ্তা

Jammu Kashmir ex deputy cm


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

উড়িষ্যার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পিছনে চক্রান্তের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। অনেকেই সিবিআই তদন্তের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করছে। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থাগুলির ওপর আস্থা রাখা উচিত। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ঘটনার পর থেকেই সেখানে রয়েছেন। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। মঙ্গলবার বর্ধমান বিজেপি জেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়ে গেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্রা গুপ্তা। 



মঙ্গলবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মহাজন সম্পর্ক অভিযানের অঙ্গ হিসাবে কবীন্দ্রা গুপ্তা বর্ধমানে আসেন। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিংহ অহলুবালিয়া, জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিত তা, জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র, রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্ণণ ঘড়ুই প্রমুখরাও। 



এদিন কবীন্দ্রা গুপ্তা জানিয়েছেন, ৭০ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের যে শাসনব্যবস্থা ছিল তার পরিবর্তন করেছেন মোদিজী। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে বর্তমানে জম্মু কাশ্মীরে শান্তি স্থাপন হয়েছে। একটা সময় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে মানুষ অন্যত্র চলে গিয়ে বাস করছিল। গত ৪ বছরে সেই অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাইরে থেকে জম্মু কাশ্মীরে এসে বসবাস করার প্রবণতা বেড়েছে। তিনি বলেন, চলতি সময়ে প্রায় ১ কোটি রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক এসেছে জম্মু কাশ্মীরে কেবলমাত্র জম্মু কাশ্মীরে শান্তি স্থাপিত হয়েছে বলেই। 



অনুপ্রবেশ সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্থান চেষ্টা করেছে। বিক্ষিপ্তভাবে এখনও দু-একটা চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সরকার এব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভারতবর্ষের দিকে চোখ তুলে তাকালে ভারতবর্ষও কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। অন্যদিকে, বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র সরকার আটকে রেখেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পর্কে এদিন কবীন্দ্রা গুপ্তা বলেন, বাংলার সরকার জাতপাত, ধর্মের বিভাজনের রাজনীতি করছে। কারা কারা কাজ করেছে, কারা কারা টাকা মেরেছে - এব্যাপারে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাঁরা আশা করছেন সেই তদন্ত চলছে - দুধ আর জল সঠিক সময়েই আলাদা আলাদা হয়ে যাবে। 



এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিংহ অহলুবালিয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে একাধিক উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করলেও সেই টাকা জেলাশাসকের অধীনে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, নিয়মানুযায়ী সাংসদ তহবিলের টাকায় নির্মিত কোনো কাজে সংশ্লিষ্ট সাংসদের নামাঙ্কিত ফলক লাগাতে হয়। তাঁকে হয়ত পছন্দ নয়, তাই ওই কাজ আটকে রাখা হয়েছে যাতে তাঁর নামে ফলক লাগানো না হয়।