কোন তথ্য লুকাতে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছিলো নথি ! খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা
মঙ্গলবার সকালে আচমকাই খবর ছড়ায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পুড়়িয়ে ফেলা হচ্ছে প্রচুর নথি। খবর শুনেই ছুটে যান সিবিআই আধিকারিকরা। অর্ধেক জ্বলে যাওয়া নথি সংগ্রহ করছে তাঁরা। তবে কীসের নথি, কারা জ্বালিয়ে দিচ্ছিলেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য না মিললেও সূত্রের খবর বিহারের অবৈধ খনির নথি পাওয়া গিয়েছে এখানে। তবে কোন সত্য গোপন করতে কি কি গুরুত্বপূর্ণ নথি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য়, দিন কয়েক আগেই ভাঙড় ১ ব্লকের তৃণমূল (TMC) সভাপতি শাহজাহান মোল্লার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এই নথি জ্বালানোর সঙ্গে সেই নিয়োগ দুর্নীতি বা শাহজাহানের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের কাশিপুরগড়ি এলাকার আন্দুলগড়ি মৌজায় চারদিকে পাঁচিল ঘেরা একটি বিশাল জমি রয়েছে। সেই জমিতেই গত তিনদিন রাশি-রাশি নথি পোড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে এই নথি পোড়ানো শুরু হয়েছিল।
এই খবর কানে যেতেই মঙ্গলবার সকালে সিআরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙড়ের জমিতে হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। জমির চারদিকে আধাসেনা মোতায়েন করে আগুন নেভানোর কাজ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি ঘেঁটে সূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। যদিও রাকেশ রায় চৌধুরী নামে ওই তৃণমূল নেতার দাবি বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই।
কীসের নথি, কারা পুড়িয়ে ফেলছিল, কী উদ্দেশ্যে রাশি-রাশি কাগজ পোড়ানো হচ্ছিল, তা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊