কোলকাতায় STF এর হাতে জঙ্গি সন্দেহে ধরা পড়ল দিনহাটার নান্নু মিঁয়া, ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত 


stf



জঙ্গি সন্দেহে ধরা পড়লো দিনহাটার নান্নু মিয়াঁ । কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করেছে নান্নু মিয়াঁকে। আর এরপরই দিনহাটা ও সিতাই থানার পুলিস এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা ছুটে যান মদনকুঁড়া গ্রামে। সেখানে পুলিস এবং গোয়েন্দারা নান্নু মিঁয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন।

শনিবার বারাসত জেলা আদালতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আল-কায়েদা সংগঠনের সন্দেহভাজন এই নান্নু মিয়াঁকে  11 দিনের হেফাজতে মঞ্জুর করেছে যাকে আগের দিন পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গ্রেপ্তার করেছিল।

সরকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, "আজ তাকে বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল যেখানে পুলিশ 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করেছিল। আদালত 11 দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত। তদন্ত চলছে"।

জানা গিয়েছে নান্নু মিঁয়া দশ মাস আগে মদনকুঁড়া গ্রাম ছেড়ে দিল্লিতে কাজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মানিক মিঁয়ার বড় ছেলে নান্নু মিঁয়ার স্ত্রী রেক্সনা বিবি, দুই ছেলে বেল্লাল মিঁঞ্চা, খারুল মিঁঞ্চা, দুই মেয়ে নাজিমা এবং ফতেমাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান।

নান্নু মিঁয়ার পাশের বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা নুরবানু বিবি বলেন নান্নু মিঁয়া এমনিতে খুব শান্তশিষ্ট ভালো ছেলে। ও আমাকে ভাবি বলে ডাকে। প্রতিদিন নিয়মিত পাশের মসজিদে ও নামাজ পড়ত। এবং কৃষিকাজ করে সংসার চালাত। ২০ বছর আগে পাশের গ্রামের রেক্সনার সাথে ওর বিয়ে হয়। সংসার চালাতে না পেরে ও দশমাস আগে কাজের সন্ধানে দিল্লিতে চলে যায়। কিন্তু আজ সকালে খবর পাই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামে সকাল থেকেই অপরিচিত অনেক মানুষের যাতায়াত শুরু হয়েছে।আমাদের ভাবতে অবাক লাগছে।

নান্নু মিঁয়ার আরেক প্রতিবেশী জমিলা বেওয়া বলেন নান্নু মিঁয়াকে কী কারনে ধরেছে তা বলতে পারব না। তবে শুনেছি ও জঙ্গি সংগঠনের একজন সদস্য। এদিন নানুরের গ্রামে গিয়ে দেখা গেল নানুরের টিনের বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ির গেট থেকে শুরু করে দরজা, জানাল সব কিছু বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িটি দেখলেই বোঝা যায় এই বাড়িতে বেশ কয়েকমাস ধরে মানুষের বসবাস নেই।

যদিও এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা পুলিস এবং গোয়ান্দা দফতর কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।