পলি মালচিং পদ্ধতিতে করলা ও তরমুজ চাষ
রাজ্যের একাধিক জায়গায় পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হয় । সেইরকমই বহরমপুর বেরাতে গিয়ে পদ্ধতিতে চাষ হতে দেখেন । সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় দু'বিঘা জমিতে পলি মালচিং পদ্ধতিতে করলা ও তরমুজ চাষ করেছে সিউড়ি একনং ব্লকের আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাখুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাসউদ্দিন ।
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষের জন্য পলি মালচিং শীটের প্রয়োজন হয় । ওই শীটের একদিক কালো রঙের হয় অপরদিক রূপালী রঙের হয় । মূলত চাষের জমি তৈরি করার পর সেখানে ওই শীট বিছিয়ে দেওয়া হয় । এরপর ওই শীটের মধ্যে ছিদ্র করে সেখানে চারা বসানো হয় । এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে চাষের জমিতে আগাছা নিধনের জন্য নিড়ানির যে খরচ থাকে তা লাগে না মাটি জল সংরক্ষণ হওয়ায় সেচের খরচ কমে রোগ পোকা মাকড়ের উপদ্রব কমে যায় সহ একাধিক সুবিধা হয় । পাশাপাশি ফলনও ভালো হয় বলে দাবি চাষীদের ।
আব্বাসউদ্দিন বলে, " বহরমপুরে তিনি এই পদ্ধতিতে চাষ দেখেছিলাম । তারপর নিজের জমিতে পদ্ধতিতে চাষ করার উদ্যোগ নি কিন্তু ওই পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রয়োজন পলি মালচিং শীটের কিন্তু এই জেলায় একাধিক জায়গা ঘুরে ওই শীট পাই নি । পরে ইউটিউবের মাধ্যমে মেদিনীপুরের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শীট আনানোর ব্যবস্থা করি ।" এই বছর প্রথম তিনি এই পদ্ধতিতে চাষ করেছেন ৷
তিনি বলেন, সাধারণভাবে চাষ করতে আমাকে নিড়ানি খরচ বাবদ প্রায় দশহাজার টাকা দিতে হত এবং সেচের জন্য প্রায় ছ'হাজার টাকা । সেখানে নিড়ানি খরচ একটাকাও লাগে নি । আবার সেচের খরচও তিনভাগের এক ভাগ । পরিবর্তে ওই শীটের দাম ও আনানোর জন্য রোল প্রতি প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছিল । তাঁর কথায়," খরচ অনেকটা কমে যায় । পাশাপাশি ফসল খুব ভালো হয় । আমি এবার থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে চাষ করব ।"
0 মন্তব্যসমূহ
thanks