Summer Vacation : আবারো এগিয়ে আসতে পারে গরমের ছুটি ! শুরু হয়েছে বিতর্ক 

Summer Vacation


বুধবারের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্কুলে গরমের ছুটি (Summer Vacation) ২৪ মে থেকে এগিয়ে ২ মে থেকে শুরু হচ্ছে।  গরমের ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে অসুস্থতার সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় ফের একবার গরমের ছুটির (Summer Vacation) রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে প্রশাসনিক স্তরে জল্পনা শুরু হয়েছে।

ফলে গরমের ছুটি (Summer Vacation) ২ রা মে নয় তার অনেক আগেই দেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে গরমের ছুটি। 

Summer Vacation

ইতিমধ্যে গরমের ছুটি (Summer Vacation) নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। 

তবে গরমের ছুটির (Summer Vacation) তারিখ পরিবর্তনের সাথে সাথে তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।  গরমের ছুটি বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন- "শুধু মে মাস নয়, প্রায় গোটা জুন মাসেও প্রচন্ড গরম থাকে। তার জন্য যদি পুরো সময় স্কুলের গঠন পাঠন বন্ধ রেখে দেওয়া হয় তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষা তার গুরুত্ব হারাবে। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকা আমরা দেখে আসছি। প্রাকৃতিক অবস্থা স্বাভাবিক হলেও পূর্ব ঘোষণা মত বিদ্যালয়গুলিকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এর ফলে সরকার সুকৌশলে শিক্ষার বেসরকারীকরণ করার পথকে আরও প্রশস্ত করে চলেছে এবং জনমানসে শিক্ষার বেহাল অবস্থার দায় শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যার পরিণতি ভয়ংকর বলেই আমরা মনে করি। সরকারের এই সুকৌশলী এবং দূরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে মানুষকে প্ররোচিত করবে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"

এই ছুটির বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী আরও বলেছেন- গরমের ছুটি (Summer Vacation) নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক দাবী তুলে ধরছেন, তাদের দাবী গুলো হলো-

১) দক্ষিণবঙ্গে গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে যেসব স্কুলে কোন অসুবিধে নেই সেখানে এই এপ্রিল মাস থেকেই সকাল স্কুল চালু করা হোক। ২ মে হতে প্রায় এখনো ২০ দিন বাকি। পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।

২) পূর্বে যেভাবে বিদ্যালয়গুলিতে বৎসরে ৮৮/৯০ টি ছুটি দেওয়ার রীতি ছিল বর্তমানে যেটিকে কমিয়ে ৬৫ করা হয়েছে সেটি ফিরিয়ে আনা হোক। এর ফলে গ্রীষ্মাবকাশ প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলি দিতে পারবে। আবার উত্তরবঙ্গে প্রবল শীতের সময়ে তারা সেই ছুটি গুলিকে নিজেদের আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে। অনিশ্চিত নয়, ছুটি পূর্বনির্দিষ্ট থাকলে বিদ্যালয়ে সারা বছরের পঠন পাঠান প্রক্রিয়াকে সাজিয়ে গুছিয়ে মার্জিত ভাবে পরিচালনা করতে পারে। এর ফলে শিক্ষায় বিরূপ প্রভাব পড়ে না।

৩) শিক্ষার যে কোনো বিষয় উপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার আগে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংগঠন গুলির মতামত গ্রহণ করতে হবে।


প্রসঙ্গত এ বার গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২৪ মে। শিক্ষা দফতর অবশ্য জানিয়েছে, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী স্কুল চলবে।