Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Digital যুগেও বিগত ৪ দশক ধরে নববর্ষের আগে হালখাতা বিক্রি করতে আসেন আবির হোসেন

Digital যুগেও বিগত ৪ দশক ধরে নববর্ষের আগে হালখাতা বিক্রি করতে আসেন আবির হোসেন

abir hossain




চৈত্রের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বৈশাখ আসছে। কত রকমারি আয়োজন থাকে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে। হালখাতা সেসব আয়োজনেরই একটি অংশ। নিছক হিসেবের খাতা হালনাগাদ করার আনুষ্ঠানিকতাই নয়, এতে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে হৃদ্যতার সম্পর্কও গড়ে ওঠে।

প্রায় চার দশক ধরে এই হাল খাতা বা জাবেদা খাতা নিয়ে বিহার থেকে জলপাইগুড়ি পাড়ি দিয়েছেন আবির হোসেন । আসন্ন বাংলার নববর্ষ, এই ডিজিট্যাল যুগেও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে হাল খাতার প্রচলন। আর এই সুযোগে যাতে কিছু কেনা বেচা হয় তাই নতুন হাল খাতা নিয়ে সুদূর বিহার থেকে এবারেও জলপাইগুড়িতে পা রেখেছেন আবির হোসেন।

হালখাতা

এই হাল খাতার ব্যাবসায়ী বিগত প্রায় চার দশক ধরে এভাবেই বাংলা নববর্ষের আগে পৌঁছে যান শহরে জাবেদা খাতা প্রস্তুত করতে । শহরের ব্যাবসায়ী অরূপ মালাকার বলেন, ছোটো বেলা থেকেই ওনার কাছ থেকে হাল খাতা কেনার রেওয়াজ দেখে এসেছি, দামে কম এবং ভালো বাঁধাইয়ের জন্য ওনার এই জিনিসের চাহিদা রয়েছে।

কিন্তু কেন নববর্ষের সময় প্রতিবছর দোকানগুলোতে হালখাতার রেওয়াজ দেখা যায় বলুন তো? জানেন কি? তা হলে জেনে নিন।

পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা আয়োজন করেন হালখাতা। এর দিন কয়েক আগে থেকে ক্রেতাদের হালখাতা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। দোকানপাটে থাকে পরিপাটি সাজ।

ফুল, মালা দিয়ে সাজিয়ে এদিন দোকানে দোকানে গণেশের পুজো করা হয়। নতুন খাতার প্রথম পাতায় নতুন কিছুর সূচনার প্রতীক হিসেবে স্বস্তিক এঁকে শুরু হয় নতুন বছরের হিসেব নিকেশ। নতুন বছরে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলে, সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে তারই প্রার্থনা করেন দোকানীরা।

তবে ডিজিটাল যুগে সবকিছুই এখন কম্পিউটার নির্ভর হয়ে যাওয়ায় কমে গিয়েছে হিসেব রাখার খাতার ব্যবহারও। তাই আগের থেকে অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে পয়লা বৈশাখে হালখাতার উত্‍সব। তবে ডিজিটাল যুগেও আবির হোসেনের মতো মানুষেরা নতুন হালখাতা নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় খানিক অর্থ লাভের আশায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code