সাগরদিঘী অশণি সঙ্কেত ! উনিশের পর আরেকটি শিক্ষা তৃণমূলের ! 


Sagardighi


তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সোমবার সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গড় ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল। জয়ী হল কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস।

সাগরদিঘিতে ৪৭.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে জয়ী কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৩৪.৯৪ শতাংশ ভোট। বিজেপি তৃতীয় স্থানে এই আসনে। পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ।

আজ মমতা বলেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচন আমরা হেরেছি। এনিয়ে কাউকে দোষ দেব না। গণতন্ত্রে ভোটে প্লাস-মাইনাস হতেই পারে। কিন্তু এটা বলব যে একটা অনৈতিক জোট হয়েছিল। আমি এটার নিন্দা করছি। বিজেপির ভোট চলে গিয়েছে কংগ্রেসের কাছে।

সাগরদীঘির উপনির্বাচনের ফলাফলের পরে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন- "বাম-কংগ্রেস-বিজেপির অশুভ আঁতাত। সাগরদিঘী অশণি সঙ্কেত। আমরা নীচু তলার যারা কর্মী তাদের শিক্ষা নিয়ে মাটি কামড়ে বুথ স্তরে আরও বেশী সময় দিতে হবে। আর সাগরদিঘীর পোষ্ট মর্টেম প্রয়োজন। নীচু তলার সত্যিকারের আসল খবর উপরতলায় যাওয়া দরকার। সাগরদিঘী বোধহয় আমাদের উনিশের পর আরেকটি শিক্ষা। চলুন আমরা সকলে আরও পরিশ্রমী হই।"

"সাগরদীঘির জয় প্রমাণ করে তৃনমূল সরকারের বিদায় আসন্ন।"-মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী উপনির্বাচনে জয়ের খবর আসতেই এমন মন্তব্য করলেন জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম জাতীয় কংগ্রেস নেতা অমিত ভট্টাচার্য।

শহরের রাজীব ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাম কংগ্রেস জোটের এই ঐতিহাসিক জয় প্রমাণ করে দিলো স্বৈরাচারী তৃনমূল এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে বর্জন করেছে সাধারণ মানুষ।