400 কোটি টাকার জালিয়াতি : ডি-গ্যাংয়ের 16 জন গ্রেপ্তার; নয়জনের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ
নয়ডার গৌতম বুদ্ধ নগর কমিশনারেট পুলিশ 400 কোটিরও বেশি অনলাইন গেমিং জালিয়াতির সাথে জড়িত একটি আন্তর্জাতিক র্যাকেটকে ফাঁস করেছে। ডি গ্যাং-এর সাহায্যে দুবাইয়ে বসে তার গেমিং অ্যাপের (মহাদেব অ্যাপ) মাধ্যমে নয়ডায় বাড়ি তৈরি করে মানুষকে প্রতারণা করছিল।
গেম খেলা ও বাজি ধরার নামে প্রতারণাকারী ১৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মূল হোতাসহ নয় আসামি পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। দুবাই, নেপাল, হংকং, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে শুরু করে ১১টি দেশে এই গ্যাংটির নেটওয়ার্ক রয়েছে।
নয়ডা জোনের ডিসিপি হরিশ চন্দর বলেছেন যে এসিপি রজনীশ ভার্মার নেতৃত্বে কোতোয়ালি সেক্টর-39 পুলিশের দল সেক্টর-108-এ অবস্থিত বাড়ি নম্বর D-309 অভিযান চালিয়ে 16 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তরা এই পতিতালয়টি ভাড়ায় নিয়েছিল এবং এটিকে গেমিং অ্যাপের ভিত্তি বানিয়েছিল এবং এখানে ইনস্টল করা সেটআপ থেকে গেম খেলা থেকে বাজি ধরা পর্যন্ত সব কাজ করা হয়েছিল।
পুলিশ দল এখান থেকে ঝাঁসির বাসিন্দা তরুণ লাখেদা, রাহুল, অভিষেক প্রজাপতি, আকাশ সাহু, হিমাংশু, অনুরাগ ভার্মা, বিবেক, দীপক কুমার, বিশাল শর্মা, রাওয়াত, দিব্য প্রকাশ, হর্ষিত চৌরাসিয়া, অক্ষয় তিওয়ারি, নীরজ গুপ্ত, আকাশ জোগি এবং দীপককে গ্রেপ্তার করেছে।
গত দেড় মাস ধরে এই অভিযুক্তরা ১০৮ নম্বর সেক্টরের এই বাড়িতে সেটআপ তৈরি করে আন্তর্জাতিক স্তরে গেম খেলছিল এবং বাজি খেলছিল। গ্যাং লিডার সৌরভ চন্দ্রকরসহ নয় আসামি পলাতক। এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এই গ্যাংয়ের আন্তর্জাতিক নেতা সৌরভ চন্দ্রকর, যে দুবাইতে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। সৌরভ নিজের সফটওয়্যার তৈরি করে মহাদেব নামে একটি গেমিং অ্যাপ তৈরি করেন। এই অ্যাপটি ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। নয়ডায় প্রতারণা করার জন্য শচীন সোনিকে ভারতের প্রধান বানিয়েছিলেন সৌরভ। শচীন সোনি তার অনেক বন্ধুর সাথে দেড় মাস আগে সেক্টর-108-এ এই সেটআপটি তৈরি করেছিলেন এবং মহাদেব অ্যাপের নামে সোশ্যাল সাইটে গেমটির জন্য লোকদের আমন্ত্রণ জানাতেন। এরপর তারা বাজির কাজ করত। এভাবে দেড় মাসে ৪০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করেছেন অভিযুক্তরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊