Supreme Court to hear pleas challenging CAA on December 6


Supreme Court of INDIA



২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তারপরই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশজুড়ে সংগঠিত হওয়া প্রতিবাদকে উপেক্ষা করেই ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি চালু হয় এই আইন।


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা মামলা দায়ের করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML)। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এ বিষয়ে কেন্দ্রের মত না শুনে আইনটি মুলতুবি রাখার নির্দেশ তারা দেবে না। এই সংক্রান্ত জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের সময়ও মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।




ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের পাশাপাশি সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেও একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ ও আরজেডি (RJD) সাংসদ মনোজ ঝা প্রমুখ। আইনটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিআই (CPI)-সহ আরও একাধিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO) ও অনেক আইনের ছাত্র।


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship (Amendment) Act) বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে তার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর পাশাপাশি দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit), বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট (S Ravindra Bhat) ও বেলা এম ত্রিবেদীর (Bela M Trivedi) ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে অসম ও ত্রিপুরা সরকারের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যে দু সপ্তাহের সময় চেয়েছিল তাও মঞ্জুর করেছে।