Breaking: শিক্ষক নিয়োগে ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
শিক্ষক নিয়োগে ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কর্মশিক্ষা বিষয়ের নিয়োগে দুদিনের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলার শুনানিতে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে নিয়োগে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কর্মশিক্ষা বিষয়ের ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়ে এসএসসি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এদিন আদালতে কমিশন জানায়, কর্মশিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৭৬৬ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন? পর্ষদের আইনজীবী জানায় "আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোন নিয়োগপত্র দেয়নি।”
অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ”আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।” শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।
আদালতের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগপত্র যেন না দেওয়া হয়। গ্রু সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্য কিন্তু বঞ্চিত প্রার্থীদের জন্য শূন্যপদ তৈরি বলে ৬৮২১ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে আদালতের নির্দেশে চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের পরিবারের কথা পুনর্বহালের আবেদন করে কমিশন। প্রাথমিকভাবে তিরস্কারের পর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁদের জন্য আন্য কাজের ব্যবস্থা করার কথা জানায় কিন্তু শিক্ষক নয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে বলে মন্তব্য করেন।
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দিল পর্ষদ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊