Calcutta Highcourt: ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের


High Court




ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এদিন কার্যত সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 'সোমবার পর্যন্ত দেখব, নির্দেশের পরও কাজ না হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।'



বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পর্ষদকে হুঁশিয়ারি দিল আদালত। গত ৪ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ৮২ নম্বর পেলে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭-র লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। পাশাপাশি নম্বরের তালিকাও প্রকাশ করতে বলে আদালত। সেই মতো নম্বর তালিকাও প্রকাশ করে পর্ষদ। সংরক্ষিত বিভাগের চাকরি প্রার্থীদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।




বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। আমি বলেছিলাম, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না। সেই মন্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। এরকম চলতে থাকলে নিয়োগ বন্ধ করে দেব।

৭ নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। আদালতের চাপে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর তারপরেই ২০১৪ সালের টেট এর নম্বর প্রকাশ করার দাবিতে আদালতের দারস্ত হন বেশ কিছু প্রার্থী। তাদের দাবি ছিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৭ এর পাশাপাশি ২০১৪ সালের নম্বর প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেও পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৭ এর টেটের নম্বর প্রকাশ করার উল্লেখ করেছে। অবশেষে আজ সেই মামলা ওঠে আদালতে।




মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে পর্ষদ জানিয়ে দেয়, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালে সংরক্ষিত বিভাগে অর্থাত্ যারা ৮২ নম্বর পয়েছেন তাদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও।




বুধবারের পর বৃহস্পতিবার, একই ধরনের দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হয়। সেখানেই ফের পর্ষদকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।