SSC Scam : কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য
স্ত্রীকে দেখেই কেঁদে ফেললেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (subiresh bhattacharya)। জড়িয়ে ধরলেন মেয়ে। আদালতেই একেবারে বিধ্বস্ত চেহারায় গোটা পরিবার।
এসএসসির সিবিআই মামলায় সোমবার আদালতে সশরীরের হাজির ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির মূল অভিযুক্তরা। ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশও (subiresh bhattacharya)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা। এদিন ক্রমাগত রুমালের কোনে চোখের জল মুছতে দেখা যায় সুবীরেশকে।
আদালতে তখন শুনানি শেষের পথে। পিছনের দিকে স্ত্রী ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে বসেছিলেন সুবীরেশ (subiresh bhattacharya)। ক্রন্দনরত সুবীরশকে শ্বান্তনা দিতে যায় স্ত্রী এবং ছেলেকে। মেয়েও এসে পিছন থেকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । এদিন গোটা আদালত চত্ত্বর এই অশ্রুসজল দৃশ্যের সাক্ষ্যী থাকলো ।
২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ আর সেই সূত্র ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (subiresh bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। আর তারপরই গ্রেফতার হন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও উপাচার্য গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রসঙ্গত সিবিআই (CBI) স্পষ্টত জানিয়েছিল, ৩৮১ জন চাকরিপ্রার্থী, যাঁদের মার্কশিটে নম্বর বদল করা হয়েছিল, তা হয়েছিল সুবীরেশের নির্দেশেই। অর্থাৎ তাঁরা কম নম্বর পেলেও, তাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বর্ধিত নম্বরের ভিত্তিতেই তৈরি হয় ‘রেকমেনডেশন লেটার’,আর তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল নিয়োগপত্র। তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন।
যদিও সুবীরেশের আইনজীবী এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করে আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, বরং এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাও সীমিত ছিল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊