এক দেশ, এক কার্ড-one nation, one card


one nation, one card



“এক দেশ, এক রেশন কার্ড”, “এক দেশ, এক মবিলিটি কার্ড”, “এক দেশ, এক গ্রিড”, “এক দেশ, এক সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ”, “এক দেশ এক সার” তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “এক দেশ, এক পুলিশ উরদি”-এর প্রস্তাব পেশ করেন। একইভাবে ২০২৪ সালের মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে খবর।


জানাযাচ্ছে, এবার জন্ম শংসাপত্র থেকে রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সব কার্ড একটি কার্ডে পরিণত হবে। অর্থাৎ এক দেশ, এক কার্ড (one nation, one card) ।


ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের (NPS) তথ্য ব্যবহার করে তারপরই আসতে চলেছে একটি নতুন মাল্টিপারপাস কার্ড। আর তাতে মিশে যাবে আধার, প্যান এবং ভোটার পরিচয়পত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ কার্ডগুলি।


বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানাযাচ্ছে- "নাগরিকদের জন্য একটিই মাত্র কার্ড চায় কেন্দ্র। সেই কার্ডে ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেটকেও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকী কারও মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য যাতে ওই কার্ডের নেটওয়ার্কে আপলোড হয়ে যায়, থাকবে সেই ব্যবস্থাও।" 

আরও পড়ুনঃ LPG Price Today :  স্বস্তির খবর, একধাক্কায় ১০০ টাকার বেশি কমলো দাম, দেখুন কোথায় কত

সরকারের যুক্তি হল, একাধিক কার্ড রাখার বদলে একটি নাগরিকত্ব তথা তথ্য পরিচয়পত্র থাকাটা নাগরিকদের জন্যও সহজ ও সুবিধাজনক। পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য এই মাল্টিপারপাস কার্ডে আপডেট করার ফলে প্রতিনিয়ত জানা যাবে দেশের প্রকৃত নাগরিকদের সংখ্যা ও তথ্য। ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত তথ্য আপডেট হয়ে গেলে মৃতের নামে ভোটদান কিংবা মৃত ভোটারদের কার্ড ব্যবহার করার প্রবণতাও আর থাকবে না। অর্থাৎ জাল ভোট অথবা ভোটের জালিয়াতি বন্ধ করা যাবে। পাশাপাশি এই কার্ডের মাধ্যমেই সরকারের ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের টাকার ভর্তুকি গরিব ও কৃষকদের দেওয়া হবে। ফলে এই ধরণের সরকারী প্রকল্পে স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।


প্রসঙ্গত এবার সেন্সাসের প্রক্রিয়া হবে ডিজিটাল। সেন্সাসের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ চালু হবে। সেই সরকারি অ্যাপ ডাউনলোড করে নাগরিকরা তাঁদের তথ্য আপলোড করে দিতে পারবেন। ফলে চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির এতদিন যা সময় লাগত, এবার আর তা লাগবে না।