৯ অক্টোবর শেষ সময় !  শিক্ষক সহ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি'র কয়েক হাজারের চাকরী যাবে, সাথে কড়া ব্যবস্থা 

avijit ganguly and high court



SSC দুর্নীতির ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেই রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়ক গাছ বিচারপতির। কার্যত, এদিন SSC দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়ে গেল আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এদিন এই রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। রিপোর্ট দেখার পরেই কড়া হুশিয়ারী আদালতের। আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষক সহ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি'র ৮,১৬৩ জনকে দেওয়া হয়েছে শেষ সুযোগ।


আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে যারা জালিয়াতি করে বা অবৈধ ভাবে শিক্ষক সহ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি' পদে চাকরী করছেন,তাদের চাকরী থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। ৯ অক্টোবরের মধ্যে স্ব-ইচ্ছায় ইস্তফা না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেবে আদালত এমনটাই জানা যাচ্ছে।


আদালত জানায়, ‘বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া সমস্ত প্রার্থীরা চাকরি যাবে তবে যদি নিজের থেকে চাকরিতে পদত্যাগ করে তো ভালো, নইলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।" শুধু চাকরি যাওয়াই নয় অন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই নাকি জানিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি বলে, "এই প্রার্থীরা যাতে আর কোনও দিন কোনও সরকারি না পান তার ব্যবস্থা করব। আর যদি নিজে থেকে ইস্তফা দেন তাহলে বুঝব কী অপরাধ করেছেন তা উপলব্ধি হয়েছে।'


সূত্রের খবর, সিবিআই-য়ের রিপোর্ট বলছে, গ্রুপ সিতে ৩,৪৮১ জন, গ্রুপ ডিতে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। একাদশ – দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগে ৯০৭ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬৩১ জনের নাম প্যানেলে রয়েছে। নবম – দশমে নম্বর বদলানো হয়েছে ৯৫১ জনের।




সিবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র দু’একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং সাদা খাতা জমা দিয়েই নবম-দশম ও একদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতা এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পর্যায়ে চাকরিতে নিয়োগের মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছেন অন্তত আট হাজার জন। যা শুনে চমকে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এই আট হাজারের মধ্যে কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।




বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, নবম থেকে দ্বাদশ— স্কুলের নিয়োগে উত্তরপত্রে প্রায় কিছু না লিখেও নম্বর পেয়ে গিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু খাতায় শুধুমাত্র পাঁচ-ছ’টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। তার পরও (ওই চাকরিপ্রার্থীরা) ৫৩ নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়া গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’-র পরীক্ষায়ও একই জিনিস হয়েছে।’’