তিন-তিন জন প্রধানমন্ত্রী যা পারেন নি, লিজ ট্রাস তা কি পারবেন ! 


liz truss




মাত্র ছয় বছরের মধ্যে রক্ষণশীল টোরি দলের তিন-তিন জন প্রধানমন্ত্রী যা পারেন নি, চতুর্থ নেতা হিসেবে লিজ ট্রাস (Liz Truss) তা পারেন কিনা, সে দিকেই গোটা দেশের নজর থাকবে।


ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন কঠিন সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর (British Prime Minister) দায়িত্ব পাওয়া মোটেই শুধু আনন্দের কারণ হতে পারে না। প্রথমে ব্রেক্সিট, তারপর করোনা মহামারি, বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে দেশটি। জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক মন্দার অশনি সংকেত ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে প্রবল ক্ষোভের মুখে ব্রিটেনের পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

liz truss




ট্রাস (Liz Truss) নিজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। গত আট বছর ধরে তিনি মন্ত্রিসভায় একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন।


মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) হিসেবে শপথ নেবার পর লিজ ট্রাস (Liz Truss) কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নতুন করে অর্থনীতি আবার গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। মার্গারেট থ্যাচারের ঘোষিত অনুরাগী হিসেবে মূলত করের বোঝা কমিয়ে তিনি সেই অসাধ্যসাধন করতে চান।


সেইসঙ্গে ট্রাস (Liz Truss) রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবারও হাল ফেরাতে চান। এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তি অস্পষ্ট থাকায় মঙ্গলবারই ব্রিটেনের আর্থিক বাজারে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। ৩০ বছর মেয়াদের সরকারি বন্ডের মূল্য এতটাই পড়ে গেছে, যেমনটা ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারির তুঙ্গে ঘটেছিল।


প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরাসরি ব্রিটিশ ভোটারদের আস্থা অর্জনের সুযোগ এখনো তিনি (Liz Truss) পান নি। এত বাধা অতিক্রম করে লিজ ট্রাস (Liz Truss) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) হিসেবে কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিশ্ব রাজনীতি মহলে।




সংবাদ একলব্য