নির্মাণের চার বছরের মধ্যেই বেহাল দশা ছকুরডাঙা সেতুর
রঞ্জিত ঘোষ,বাঁকুড়া:
নির্মাণের চার বছর কাটতে না কাটতেই বেহাল ছুকুরডাঙা সেতু । বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ছুকুরডাঙ্গা সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু এ সুখ যে তাসের ঘরের মতো ক্ষণস্থায়ী হবে তা আর কে জানত! সেতু নির্মাণের বছর চারেকের মধ্যেই হড়পা বানে ভেঙে পড়ে সেতুটি । জানা যায় ২০১৮ সালে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।আর এই সেতুই নিত্য যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছিল ছুকুরডাঙা, চৈতন্যপুর, আনন্দপুর, ভবানীপুর, মোহনপুর, লক্ষীনারাণপুর, তড়কাবাইদ, ফুলজাম সহ প্রায় ৮-১০টি গ্রামের মানুষদের । সেতুর ওপারে রয়েছে রেশন দোকান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাই স্কুল, গ্রামপঞ্চায়েত তাই এই সেতু তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। বর্তমানে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গ্রামে ঢোকে না কোন অ্যাম্বুলেন্স , চলেনা চার - ছ চাকার যান, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীদের। বেহাল -ভগ্ন সেতুকে কেন্দ্র করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া থেকে সকল পথ যাত্রীদের।
স্থানীয়দের দাবি, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনে কোন সুরাহা, হচ্ছে হবে দেখছি বলেই দায় সেরেছেন তারা। পাশাপাশি যাতে সেতুটি আরো উঁচু করে ওভার ব্রিজ এর আকারে করা হয় তারও দাবি তুলেছেন তারা ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুজিত অগস্তি সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার আভাব কে কাঠ গোড়ায় তুলেছেন।
অপর দিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তারাশঙ্কর মন্ডল সেতুর ভগ্ন দশার কথা মেনেনিয়ে তিনি ডিভিসির ছাইমিশ্রিত জলে নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারণের তত্ত্ব খাড়া করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি তা শিঘ্রই পুননির্মান করা হবে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊