Shinzo Abe: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতের  

Shinzo Abe



‘সূর্যোদয়ের দেশ’-এ শুক্রবার সকালে আচমকাই দুঃসংবাদ। দুস্কৃতির গুলিতে প্রান হারালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Shinzo Abe)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শিনজো আবে(Shinzo Abe)। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল সারা বিশ্বে। টুইটে বন্ধুর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বেলা গড়াতেই জানা যায়, আর নেই আবে। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে (Shinzo Abe)


জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Shinzo Abe)-র মৃত্যু শোকস্তব্ধ ভারতও। জাপানের সঙ্গে ভারতের ‘কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি ছিলেন আবে। শিনজো আবের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতের। নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।


"প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোর (Shinzo Abe) প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে, 9 জুলাই 2022 তারিখে একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হবে," প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) টুইটারে লিখেছেন।


আবের মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেতেই টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) লেখেন, “আমার অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন আবে। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তিনি একজন প্রবাদপ্রতিম রাষ্ট্রনায়ক ও সুশাসক ছিলেন। জাপান ও গোটা বিশ্বের উন্নতির জন্য নিজর জবং উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।”


জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নারাতে একটি আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালানোর সময়, তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দার দ্বারা আবে গুলিবিদ্ধ হন। আক্রমণের কারণে গুরুতর অবস্থায় প্রাক্তন জাপানি প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ও পরে মারা যান।


তার মৃত্যুর পর বিশ্ব নেতারা সাবেক জাপানি নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদি আবেকে একজন 'উচ্চমানের বিশ্ব রাজনীতিবিদ' এবং একজন 'অসামান্য নেতা' বলে অভিহিত করেছেন যিনি "জাপান এবং বিশ্বকে একটি ভাল জায়গা তৈরি করতে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।"


জাপানের রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসেন শিনজো।সবথেকে দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। স্বাস্থ্যের কারণে ২০২০ সালে পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ভারতের সঙ্গে জাপানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির পিছনে তাঁর অবদান গুরুত্বপুর্ণ। তিনি ২০০৬, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ভারত সফর করেন।