President of India: দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু


New President of India



দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে রাইসেনা হিলসের দৌড়ে জয়ী হলেন পাশাপাশি গড়লেন রেকর্ডও। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu)। দেশবাসী প্রথম মহিলা আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেলেন।




পৃথক ঝাড়খণ্ডের প্রথম পূর্ণমেয়াদি রাজ‍্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা তাঁর। ১৯৯৭ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন তিনি। ওড়িশায় জনজাতি নেত্রী হিসেবে সুপরিচিত তিনি। ২০০০ সালে পৃথক ঝাড়খণ্ডের দ্রৌপদীই প্রথম পূর্ণমেয়াদি রাজ্যপাল। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পদে টিকে ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলা বিজেপি-র সভাপতি পদ সামলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর নাম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনীত করে এনডিএ, যার পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলও ভূমিকন্যা দ্রৌপদীকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।




দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। দ্রৌপদী মুর্মু যশবন্ত সিনহাকে হারিয়েছেন। রামনাথ কোবিন্দের পর দেশের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তিনি। 



১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক সাঁওতালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। গ্রামের প্রথম মহিলা হিসেবে কলেজে পড়ার জন্য ভুবনেশ্বরে পা রেখেছিলেন। ভুবনেশ্বরের রমাদেবী উইমেন্স কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতকের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন।



১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন।



১৯৯৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন। ওড়িশার দু'বারের বিধায়ক ছিলেন আদিবাসী নেত্রী। ২০০০ সাল এবং ২০০৪ সালে বিজেপির টিকিটে ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছিলেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দ্রৌপদীর হাতে। পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন (একটানা ছিলেন না)। তারইমধ্যে ২০০৭ সালের ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন (নীলকণ্ঠ পুরস্কার)।



ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন আদিবাসী নেত্রী।