Amarnath : ১২ বছরে তিনবার মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা, কিন্তু প্রথমবারের মতো এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখা গেল
হালকা বৃষ্টির মধ্যেও ছিল যাত্রীদের সমাগম। প্রায় পাঁচ হাজার ভক্তের মধ্যে কেউ দর্শনার্থে আসছিলেন আবার কেউ দর্শন করে ফেরার পথে। বম-বম ভোলের চিৎকারের মধ্যে মেঘের বিকট গর্জন , কিন্তু কেউ জানত না যে পবিত্র গুহা থেকে কিছুটা দূরে মেঘের আঘাতে তাঁবুর শহর প্লাবিত হতে চলেছে। ভক্তরা গুহার সামনে সমতল এলাকায় নির্মিত তাঁবুর নগরীতে যাওয়ার এবং ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিকে জলের শব্দ আসতে থাকে। পবিত্র গুহার বাম পাশ দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত জলের বিশাল স্রোত এসে পড়ল।
গত 12 বছরে অমরনাথ যাত্রার সময় গুহার কাছে তিনবার মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তবে এতটা ধ্বংসযজ্ঞ কখনও হয়নি। এই প্রথম মেঘ বিস্ফোরণে এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। অমরনাথ যাত্রায় নিযুক্ত কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। হঠাৎ একটা আওয়াজ এলো এবং মুহূর্তে এক বিরাট ধ্বংসলীলা সম্পূর্ণ হলো।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালেও গুহার কাছে মেঘ ফেটেছিল, কিন্তু তারপরও কোনো ক্ষতি হয়নি। 2021 সালে, 28 জুলাই, গুহার কাছে একটি মেঘ বিস্ফোরণে তিনজন আটকা পড়ে, যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এবার মেঘের দাপটে অনেক ক্ষতি হয়েছে।
যাত্রায় নিয়োজিত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মেঘ ফেটে যাওয়ার পর হঠাৎ করে জলপ্রবাহ শুরু হয়। এতে দুটি বড় পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে অনেক বড় বড় পাথর ছিল, যার কারণে অনেক যাত্রী তাদের ধাক্কা খেয়েছে। যা প্রাণহানির অন্যতম কারন।
অমরনাথ গুহার কাছে মেঘ ফেটে এক ঘণ্টার মধ্যে এত বৃষ্টি হয়েছে, যা পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেও হয় না। শুধু তাই নয়, গুহার আশেপাশের ক্যাম্পগুলোতে বৃষ্টি না হলেও গুহার উপর দিয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সোনম লোটাস বলছেন, বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে গুহার উপরের অংশে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে তার আগে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৫ জুলাই। গুহার উপর হঠাৎ বৃষ্টি। এরপর তা বন্যার মতো নেমে আসে। যার সাথে বড় বড় পাথর ও ধ্বংসাবশেষ এসেছে এবং এর ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊