কলকাতা আর উলাপুর : 'পোস্টমাস্টার ' এর সমাজ মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষিত

কলকাতা আর উলাপুর : 'পোস্টমাস্টার ' এর সমাজ মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষিত


কবি প্রণাম




উৎপল মণ্ডল, প্রফেসর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়:

এই একুশ শতকের দুটি দশক পার করে এসে রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার গল্প নিয়ে কিছু লেখা খুব কঠিন বলেই আমার মনে হয়। কারণ, প্রথমত, বিস্তর লেখালেখি হয়েছে, এতই হয়েছে যে সেই মহারণ্যে পথ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল। আর দ্বিতীয়ত, গল্পের আবেদন গত দিক। এই গল্পের যে সময়কাল, তারপর তীব্র গতি সম্পন্ন এবং ঘটনাবহুল একটা শতাব্দীকে মাঝখানে রেখে আজ আমরা একুশ শতকে। সমাজ বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানসিকতার যে একটা পরিবর্তন ঘটে সে অভিজ্ঞতা তো আমাদের প্রত্যেকেরই, নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার! সেজন্যই, এ গল্পের মূল আবেদন আজকের প্রজন্মের কাছে, অনুভূতির ঠিক কতটা গভীরে যাবে, গভীরে যাবার সময় কতটা পাবে, তা নিয়ে আমার কাছে প্রশ্ন জাগে।




এই প্রশ্নের মধ্যেই আজকের আলোচনার কেন্দ্রভূমি। অর্থাৎ সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক দিক। অর্থাৎ সমাজের বৃহত্তর অংশের মনস্তত্ত্ব যেভাবে ক্রিয়াশীল হয়। কিভাবে তা হয়? আদৌ তা হয় কি? মানব মনের মৌলিক কিছু গুণাবলী যে চিরকাল অপরিবর্তনীয় সে কথাটা ঠিকই। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে, চারপাশের যাপিত জীবন কে পর্যবেক্ষণ করতে করতে এবং ক্রমাগত সেই জীবনকে মানিয়ে নিতে নিতে, যাপিত জীবনের অভ্যস্ততায় মনস্তত্ত্বের কিছু কিছু পরিবর্তন তো হয় ই। না হলে জীবনানন্দ কেন শুনতে পেয়েছিলেন গ্রাম পতনের শব্দ! আর আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে দু এক প্রজন্ম আগের বয়স্কদের দীর্ঘশ্বাসই বা কেন শুনি অহরহ?




এখন প্রশ্ন, সমাজ-মনস্তত্ত্বের এই পরিবর্তন ঠিক কোন কোন দিক থেকে বা অন্য কোন প্রেক্ষিতে বিচার্য? এর মাত্রা নানান দিক থেকে নানান রকম হতে পারে। তবু সবার কেন্দ্রেই মূলত যে বিষয়গুলি অনুভব করা যায় সেগুলি-- নাগরিকতা, ধনতান্ত্রিকতা, তথাকথিত শিক্ষা, যান্ত্রিকতা, ইত্যাদি। আর আমাদের দেশে এগুলির পদসঞ্চার 'নব্য ইউরোপের চিত্তদূত হয়ে' আসা ইংরেজদের হাত ধরেই। এবং তারও সূত্রপাত নবজাগরণের মূল কেন্দ্র 'কলকাতা ' থেকেই। উল্লেখ্য,১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে কার্ল মার্কসের মনে হয়েছিল -- " ইংল্যান্ড ভারতীয় সমাজের সমগ্র কাঠামো ভেঙে দিয়েছ, পুনর্গঠনের কোন লক্ষ্মন এখনো অদৃশ্য। পুরনো জগতের বিলুপ্তি অথচ নতুন কোন জগতের সৃষ্টি না হওয়াই হিন্দুদের বর্তমান দুর্দশা এক অদ্ভুত রকমের শোকাবহ অবস্থায় পরিণত হয়েছে " (উনিশ শতক - অলোক রায়) অর্থাৎ গ্রামপ্রধান এবং সামন্ততান্ত্রিক সমাজ থেকে নাগরিক এবং ধনতান্ত্রিক সমাজের দিকে যে যাত্রা তারই ইঙ্গিত এখানে, কিন্তু তাও পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি, মূলত কলকাতাকেন্দ্রিক ছিল।


আর সেই ঢেউ কলকাতা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম ' উলাপুর 'পর্যন্ত, তখন তো নয়ই, প্রায় গোটা বিশ শতক লেগেছে একেবারে প্রান্তে পৌঁছতে। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' হাঁসুলী বাঁকের উপকথা ' তেও তারই পদধ্বনি শোনা যায় করালি চরিত্রে এবং একই সঙ্গে দ্বন্দ্বও। আর বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে তার গতি আরো বৃদ্ধি পেয়ে হু হু করে ছুটে চলেছে প্রত্যন্ত গ্রামের দিকে এবং তা প্রায় একুশ শতকের দোরগোড়া পর্যন্ত।

কিন্তু এ গল্প রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন তার প্রায় একশ বছর আগে। আর এখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই গল্পের দুটি চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক দিক যাকে আমি বলতে চাইছি সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষিত, যার একদিকে 'কলকাতা ' আরেকদিকে ' উলাপূর ', একদিকে নাগরিক জীবন আরেকদিকে গ্রাম্য জীবন।




গল্পের একেবারে শুরুতেই উলাপুর গ্রামের পরিচয়, 'গ্রামটি অতি সামান্য '। কিন্তু তার পরের পরিচ্ছেদ শুরু হচ্ছে -- "আমাদের পোস্টমাস্টার কলিকাতার ছেলে। জলের মাছকে ডাঙায় তুলিলে যে রকম হয়, এই গন্ডগ্রামের মধ্যে আসিয়া পোস্টমাস্টারের সেই দশা উপস্থিত হইয়াছে।"গ্রামের প্রকৃতি আকাশ প্রকৃতি দেখে পোস্টমাস্টারের যে দু-চারটি কবিতা লেখা হয় সেখানেও প্রকৃতির প্রতি মুগ্ধতা যে একেবারেই বানানো সে কথা জানাতে ভোলেন না লেখক। আরব্য উপন্যাসের কোন দৈত্য এসে যদি রাতারাতি '' গাছগুলো কাটিয়া পাকা রাস্তা বানাইয়া দেয়, এবং সারি সারি অট্টালিকা আকাশের মেঘ কে দৃষ্টিপথ হইতে রুদ্ধ করিয়া রাখে, তাহা হইলে এই আধমরা ভদ্রসন্তানটি পুনশ্চ নবজীবন লাভ করিতে পারে।" নাগরিক মনস্তত্ত্ব স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যায়।




পোস্টমাস্টারের এই বিরক্তিকর একঘেয়ে জীবনের জন্যই পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ, রান্নার এবং কাজের মেয়ে রতন একটু একটু করে কাছে আসতে থাকে। সন্ধ্যেবেলায় রতনের সঙ্গে পোস্টমাস্টারের কথাবার্তা যে একেবারেই পোস্টমাস্টারের 'সময় কাটানো 'তা সচেতন পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। কিন্তু গ্রাম্য অশিক্ষিত এই সরলমতি বালিকা পোস্টমাস্টারের অবসর কাটানোর কথোপকথনে তার আত্মীয়স্বজনদের কথা শুনে শুনে কলকাতা স্থিত পোস্টমাস্টারের মা- ভাই- বোনদের সঙ্গে এক মানসিক নৈকট্য অনুভব করে -- " বালিকা কথোপকথনকালে তাঁহার ঘরের লোকদিগকে মা দিদি দাদা বলিয়া চিরপরিচিতের ন্যায় উল্লেখ করি তো। এমনকি তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়পটে বালিকা তাঁহাদের কাল্পনিক মূর্তিও চিত্রিত করিয়া লইয়াছিল।"এরপর রতনকে লেখাপড়া শেখানোর সময় এবং পোস্টমাস্টারের জ্বর হলে ' সারারাত্রি শিয়রে জাগিয়া ' রতনের অক্লান্ত সেবার মধ্য দিয়ে সেই মানসিক নৈকট্য নিষ্পাপ গ্রাম্য বালিকার নরম মনে ধীরে ধীরে খোদিত হতে থাকে। কিন্তু পোস্টমাস্টারের মনে এসবের কোন রেখাপাতই নেই। গল্পে তার কোন আভাস নেই। কেন নেই? এটাই ভাবার জায়গা। এভাবেই, গল্পের প্রারম্ভিক অংশে নাগরিক এবং গ্রাম্য মানুষের মনস্তত্ত্ব যেভাবে উঠে এসেছে তা সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবার কথা নয়।




এরপর চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পোস্টমাস্টার কলকাতায় ফিরে যাবার সিদ্ধান্তের কথা যখন রতনকে জানায়, তখন লেখক ঘরের ফুটো চাল ভেদ করে মাটির সরার ওপর বৃষ্টির জল পরার এক অসাধারণ ছবি উপহার দিয়েছেন যা রতনের মানসিক অবস্থা এবং গল্পের রস উপলব্ধির যথেষ্ট সহায়ক। তবু, 'দাদাবাবু আমাকে কলকাতায় নিয়ে যাবে? ' -- পিতৃ-মাতৃ হীন অনাথ বালিকার এই প্রশ্নের উত্তরে পোস্টমাস্টার হাসতে হাসতে জানায় -- 'সে কী করে হবে।' এরপর রবীন্দ্রনাথ একটি বাক্য লিখেছেন একটি পৃথক অনুচ্ছেদে -- "সমস্ত রাত্রি স্বপ্নে এবং জাগরনে বালিকার কানে পোস্টমাস্টারের হাস্যধ্বনির কণ্ঠস্বর বাজিতে লাগিল-- ' সে কী করে হবে। " নাগরিক জটিলতার একেবারে বিপরীত কোটিতে অবস্থিত সহজ-সরল এই গ্রাম্য মানসিকতা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেনা যে, কেন তা হবে না! আর তাই সর্বক্ষণ ব্যাপী অবচেতনের এই চিন্তা রাত্রে আসে স্বপ্ন হয়ে।




পরদিন সকালে স্নানের পর পোস্টমাস্টার যখন রতনকে জানায় যে তার জায়গায় যিনি আসবেন তাকে পোস্টমাস্টার রতনের কথা বলে যাবেন, সেখানে দুটি জায়গা লক্ষ্য করার মতো -- পোস্টমাস্টারের মুখে সংলাপকে বসানোর আগে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন "প্রভু কহিলেন "। পোস্টমাস্টার কহিলেন কিংবা দাদাবাবু কহিলেন--লেখেন নি কিন্তু! নতুন মানুষ যিনি পোস্ট অফিসে আসবেন তাকে রতনের কথা বলে দেবেন। কী অদ্ভুত! সম্পর্ক যেন বাজারের আলু পটল -- আমি পারলাম না, ঠিক আছে আরেকজনকে বলে যাব, সে কিনে নেবে ! রতন সেটা নিতে পারছে না, তাই দাদাবাবুর অনেক তিরস্কার যে নীরবে সহ্য করেছে সেই রতন 'এই নরম কথা সহিতে পারিল না '। শুধু তাই নয় রতন উচ্চস্বরে কেঁদে উঠে জানায় -- " না না তোমার কাউকে কিছু বলতে হবে না, আমি থাকতে চাই নে।" কেন এ কথা বলে? সে তো পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ! তার তো কোথাও একটা থাকার দরকার! তা সত্ত্বেও অন্তরের কোন অন্তস্থল থেকে এই কথা বেরিয়ে আসে তার ব্যাখ্যা কি খুব প্রয়োজন? এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যাখ্যার কচকচি সূক্ষ্ম অনুভবে ব্যাঘাত ঘটায়।




কিন্তু এরপরেও কলকাতার শিক্ষিত নাগরিক মন রতনকে কিছু টাকা দিতে চায় -- "আজ যাবার সময় তোকে কিছু দিয়ে গেলুম, এতে তোর দিন কয়েক চলবে।" হায়রে ধনতান্ত্রিক, শিক্ষিত মানসিকতা! কিছুতেই পড়তে পারে না সরলমতি এই গ্রাম্য বালিকার সাদা হৃদয়। অপরদিকে সেই নিষ্পাপ সাদা হৃদয় "ধুলাই পরিয়া তাঁহার পা জড়াইয়া ধরিয়া কহিল, ' দাদাবাবু তোমার দুটি পায়ে পরি, তোমার দুটি পায়ে পরি, আমাকে কিছু দিতে হবে না'… "। দুই বিপরীত কোটিতে দুই মানসিকতা। আর গল্পের একেবারে শেষে নদীপ্রবাহের ভাসমান নৌকায় পোস্টমাস্টারের মনে 'তত্ত্বের উদয়' হয়-- ' পৃথিবীতে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার "। তত্ত্বের উদয় - নাগরিক শিক্ষিত মনের ইঙ্গিত। অন্যদিকে রতনের কি অবস্থা? অশ্রু জলে সিক্ত হয়ে পোস্ট অফিস ঘরের চারদিকে ঘুরঘুর করে, কারণ তার ক্ষীণ আশা, 'দাদাবাবু যদি ফিরে আসে..' । একদিকে নিজেকে ভোলানোর জন্য পোস্টমাস্টারের মনে যে তাত্ত্বিক ভাবনা, আর উল্টো দিকে রতনের যে একেবারেই বিপরীত ভাবনা তার মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা ব্যাখ্যায় একটি কথাই যথেষ্ট -- প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের মত করেই ভাবে। রতন কিন্তু ভাবছে না 'প্রভু ' যদি ফিরে আসে, ভাবছে 'দাদাবাবু 'যদি ফিরে আসে! রবীন্দ্রনাথ খুব সুন্দর একটা কথা এখানে লিখেছেন -- ' হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয় '। এভাবেই দুটি বিপরীত কোটির মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতার সহাবস্থান লক্ষ্য করা যায় এই গল্পে।




এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, যা আমার বক্তব্যকে বোঝার সহায়ক হতে পারে। প্রেমেন্দ্র মিত্র মূলত নাগরিক জীবনকেই ভালো করে দেখিয়েছেন তাঁর লেখালেখিতে। এবং তিনি লিখেছেন আরো অনেক পরে, বিশ শতকের মূলত ত্রিশের দশক এবং আরো পরে… । আমি যে দৃষ্টিকোণ থেকে পোস্টমাস্টার গল্পটি কে ভাবতে চাইছি, সে দিক থেকে 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার ' গল্পটিকেও সমপর্যায়ের বলা যায়। গল্পের কাহিনীতে সম্পর্কের প্রেক্ষিতটি ভিন্ন, কিন্তু এই দৃষ্টিকোণে অর্থাৎ গ্রাম্য ও নাগরিক মনস্তত্ত্বের দিক থেকে ভাবতে অনুরোধ করছি পাঠকদের। অবশ্য 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' এ নাগরিক নায়কের মনে তেলেনাপোতার সেই অবাস্তব কুয়াশাময় কল্পনার মতো স্মৃতির কথা আরও মারাত্মক। সেটা হবারই কথা, কেননা সে গল্প পোস্টমাস্টার এর অনেক পরে লেখা। তখন ধনতান্ত্রিক নাগরিকতার আগ্রাসন অনেক বেশি গতিসম্পন্ন। সে কথাও উঠে আসে প্রেমেন্দ্র মিত্রেরই কবিতায় -- "কার চুল এলোমেলো/কী বা তাতে এল গেল/কার চোখে কত জল/কে বা তা মাপে! /হৃদয়ে কি জং ধরে/পুরনো খাপে? "




তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আগেই বলেছি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে যাঁর সৃষ্ট করালি আর বনোয়ারী র তুমুল দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় করালি, যে করালি আবার 'নগদ টাকার' জন্য কাজ করতে যায় রেললাইনে। ওদিকে জীবনানন্দও চারিদিকে শুনতে পান গ্রাম পতনের শব্দ। আরো পরে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে মুক্ত অর্থনীতি আর নগরায়নের হিড়িক এসে সব একাকার করে দেয়, অনেকটা। যা বহু গল্প-উপন্যাসে কবিতায় উঁকি দিয়েছে বারবার।




কিন্তু এর সূত্রপাত সেই উনিশ শতকের শেষ দিকে এবং কলকাতাকে কেন্দ্র করেই। তবে তখন 'কলকাতা ' আর 'উলাপুর ' এর সামাজিক অবস্থানগত পার্থক্য ছিল বিস্তর যা বিশ্বায়ন পরবর্তী এই একুশ শতকে, শহর দিয়ে গ্রাম ঘেরার এই প্রকল্পে, আর ততটা নেই। মনস্তাত্ত্বিক ভাঙ্গনের ঐ সূচনাপর্বে কলকাতা আর উলাপুর এর পার্থক্যও ছিল স্পষ্ট। 'পোস্টমাস্টার ' গল্পটির আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট সে কথাই প্রমাণ করে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ