চোখের নিমিষে বসে গেল একটা আস্ত কুয়ো,অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলো ছেলের
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-
ফের খনি এলাকায় ধস আতঙ্কে এলাকাবাসী। বসে গেল একটা আস্ত কুয়ো। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলি এলাকার দিঘির বাগান মাঝি পাড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছিল ইসিএলের তরফ থেকে কুয়োতে জল ভর্তি করার মাত্রই বসে যায় কুয়োটি।
মেহেনা বিবি নামে এক স্থানীয় মহিলা জানান, বারবার পঞ্চায়ত কে বলার বলেও তাদের এলাকায় জলের ব্যবস্থা হয়নি বসেনি সরকারি প্রকল্পের কল। অভিযোগ এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান গুরুত্ব দেয়না তাদের এলাকায়, স্থানীয়রা জানান তাদের জীবনের কোন দাম নেই শুধুমাত্র ভোটের জন্যই তাদের দাম।
তিনি জানান যে সময় কুয়োয় ধস দেখা দেয় ঠিক সেই সময় তার ছেলে কুয়োয় স্নান করছিল। সৌভাগ্যবশত ধস হওয়া মাত্রই ছেলেকে সেই স্থান থেকে টেনে নিয়ে আসেন তার মা। ফলে একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ছেলেটি ।
শেখ হাসমত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এই কুয়োর ওপর নির্ভরশীল এলাকার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ। এই কুয়োর জলই ভরসা এলাকাবাসীদের। হঠাৎ ধসের কারণে কুয়ো বসে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন এলাকার মানুষ। এলাকা পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী ও তৃণমূল কর্মী রিঙ্কু মাল নামে এক ব্যক্তি তাদের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকার জল সংকটের বিষয়ে প্রধান কে বারবার জানানো সত্ত্বেও প্রধান কি কারনে তাদের কথা শুনছেন না তারা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না । এমনটাই তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে খানদরা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারীর সাথে সংবাদমাধ্যমের লোকেরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনেও পঞ্চায়েত প্রধানকে পাওয়া যায়নি এমনকি প্রধানের বাড়িতে গিয়েও অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি প্রধানের। তাই ধসের ব্যাপারে প্রধানের কোন বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊