Road Accident: ১৫ মিনিটের ব‍্যবধানে দুটি পথ দুর্ঘটনা, চাঞ্চল‍্য এলাকা


Accident 



ধূপগুড়ি শহরে পরপর ১৫ মিনিটের ব্যাবধানে পাশাপাশি একই জায়গা দুটি পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু হলো শিক্ষকের , বরাত জরে প্রানে বাচলেন অপর বাইক আরোহী।মৃত শিক্ষকের নাম দেবাশীষ সাহা। তুমুল উত্তেজনা ধূপগুড়ি তে ট্রাফিক পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ রাস্তা আটকে, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা উত্তেজিত জনতার, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ধস্তা ধস্তি উত্তেজিত জনতার।




প্রথম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক শিক্ষক। তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি নিয়ে পথে মৃত্যু হয়, তবে বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন মোটরবাইক আরোহী। যাকে ঘিরে রীতিমতো চরম উত্তেজনা ছরালো শহরের মূল ট্রাফিক পয়েন্টের সামনে।ধূপগুড়ি ট্রাফিক চৌপতি থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরত্বে ঘটে পরপর ঘটে দুটি দুর্ঘটনা।গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষককে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জলপাইগুড়ি।




প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে শহরের প্রাণকেন্দ্র গয়েরকাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। দেবাশীষ সাহা নামে এক স্কুল শিক্ষক মোটর বাইক নিয়ে গয়েরকাটার দিকে যাচ্ছিলেন রাস্তার দুই দিকে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখায় রাস্তার অভাবে অপর একটি ট্রলার গাড়ি মোটরবাইকে গিয়ে ধাক্কা মারে । এরপর পিছন দিক থেকে একটি মালবাহী গাড়ি এসে ওনাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পথচলতি সাধারণ মানুষ ও দমকল বাহিনী গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রথম দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক উল্টোদিকে একটি ভূটান নাম্বারের ডাম্পারের নিচে চলে আসে অপর একটি মোটর বাইক। বরাত জোরে বেঁচে যান সেই মোটরবাইকের চালক। এরপরে উত্তেজিত হয়ে পরে স্থানীয় জনতা। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই সেই ডাম্পারের ওপর চড়াও হয় সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এমনকি ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ শহরের ব্যস্ততম এশিয়ান হাইওয়ের দুই পাশে অবৈধ ভাবে পার্কিং এবং ছোট ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড করা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় এইভাবে বেআইনি স্ট্যান্ড থাকলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এলাকাবাসীদের অভিযোগ নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে ট্রাফিক পুলিশের নিষ্ক্রিয় থাকার। উল্লেখ্য ধুপগুড়ি শহরের দিনের-পর-দিন দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। 



সাধারণ মানুষের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশের টার্গেট শুধুমাত্র হেলমেট বিহীন মোটর বাইক চালক। তাদের যে আরো কিছু কর্তব্য বা আরো কিছু দায়িত্ব রয়েছে সে বিষয়ে তারা কোনোভাবেই অবগত নন। এদিন সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় আর এর জন্যই তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আরও পড়ুনঃউত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল, জেনেনিন কবে পর্যন্ত