সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানাল দিনহাটা মঙ্গল শোভাযাত্রা কমিটি
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানাল দিনহাটা মঙ্গল শোভাযাত্রা কমিটি। শুক্রবার দিনহাটা শহরের বোর্ডিং পাড়া মাঠ থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে দিনহাটা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে আবার বোর্ডিংপাড়া মাঠে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক আড্ডা চলে।
এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়েই মূলত বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়, সাথে দেওয়া হয় সম্প্রীতির বার্তা। শোভাযাত্রা এগিয়ে যাবার সাথে সাথে চলে নৃত্যানুষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের মুখোশ নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন উদযাপন কমিটির সদস্যরা।
মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী হলুদ শাড়ি ও ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে মূলত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এদিনের এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন দিনহাটা সংস্কৃতিপ্রেমী বিভিন্ন মানুষেরা ও বিশিষ্ঠজনেরা।
এদিনের এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মন্ডল,বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল আচার্য্য,ডাঃ অজয় মন্ডল,রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামল ধর,শিক্ষক স্বপন বিকাশ পাল,বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী প্রসেনজিৎ ভৌমিক,আবৃত্তিকার শিলাদিত্য রায়,বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ চন্দন সেনগুপ্ত,দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল,নাট্যব্যক্তি প্রবীর পাল,আবৃত্তিকার স্বপ্নন রায়,অধ্যাপক জয়দীপ সরকার,বিশিষ্ট শিক্ষক জাকির হোসেন স্মৃতিজিৎ,বিশ্বনাথ দেব,বিশ্বজিৎ সাহা ও আরো অনেকে।
আয়োজকদের পক্ষে তন্ময় কর্মকার,সহস্রী বর্মন,আকাশ সাহা,টুটল সরকার জানান বাংলা নববর্ষের দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের বুকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। সেই শোভাযাত্রার অনুকরণ করে ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম দিনহাটা শহরে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সেই শোভাযাত্রা দিনহাটা শহরের সকলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে নববর্ষের দিনে দিনহাটার বুকে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছর চতুর্থ বর্ষ মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।পারস্পরিক সহবস্তানের ভিত্তিতে সারিবদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ ভাবে তারা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।রাস্তা পরিক্রমা করাকালীন নৃত্য পরিবেশন করে খুদে শিল্পীরা। মাউন্ট পেপার বোর্ড দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ তৈরি করা হয়।বাঘ,হাতি,প্যাঁচার আদলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেবদেবীর আদলে তৈরি করা হয় মুখোশ।সেগুলিকে হাতে নিয়েই তারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পালকি ও মঙ্গল ঘট ব্যবহার করা হয় শোভাযাত্রায়।শহরের প্রাণকেন্দ্র দিনহাটা পাঁচমাথার মোড়ের রাস্তায় রাত জেগে আলপনা দিয়ে সাজিয়ে তোলে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা।এদিনের এই শোভাযাত্রায দেখতে রাস্তার দু’পাশে প্রচুর মানুষ ভিড় করে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊