WB Assembly: বিধানসভায় ৫ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড

Bjp tmc mla clash




আজ বেনজির হাতাহাতি হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বিধায়কের মধ্যে হাতাহাতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভায় বগটুই কাণ্ড নিয়ে সরব হন। সরকার বিধানসভাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। তোপ দাগেন শুভেন্দু। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকারের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। স্পিকার ধমক দেন, "বিধানসভা শুধু গন্ডগোল করার জন্য নয়। আপনারা অধিবেশন চলতে দিচ্ছেন না। আপনাদের নির্দিষ্ট সময় ছিল। কিন্তু আপনি হাউজে এসেও কথা বলেননি।"



স্পিকারের ভর্ৎসনার পরেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। আর এরপরেই তৃণমূল - বিজেপি দুই দলের বিধায়কের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘুষিতে নাক ফাটে চুঁচুঁড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Asit Majumdar)। পাল্টা জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক তথা বিরোধী চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডলকেও মেরেছে তৃণমূল’। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, সিভিল ড্রেসে কলকাতা পুলিসের কয়কজন চড়াও হয় বিজেপি বিধায়কদের উপর। মহিলাদেরও চুলের মুঠি ধরে হেনস্থা করা হয়েছে।




এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ।এদিন ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপরই পাঁচজন সাসপেন্ড হন।