নজিরবিহীন! শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি হাইকোর্টের বিচারপতির
শিক্ষক নিয়োগ মামলা ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। লিখিতভাবে সরাসরি প্রশ্ন, কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চ? এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের দাবি করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
গত দুমাসে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় চারটি সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগতিদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সমস্ত মামলার নথিপত্র দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানান, তাঁর কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী এসে এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। তাঁর জবাব ছিল, ”তাঁর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেছি, আমাকে মাফ করবেন।”
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের হাত। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ সি-ডি মামলার শুনানি চলাকালীন একজন আইনজীবী মন্তব্য করেন...'কথা হয়ে গেছে স্থগিতাদেশ হয়ে যাবে।'
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি খুঁজে বারতে সিবিআই অনুসন্ধান নির্দেশে যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ তাতে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে বলে মনে করছে সিঙ্গল বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চের পদক্ষেপ দুর্নীতিগ্রস্তদের সুরক্ষা দিতেই করা হয়েছে এমনটাই মনে করছে সিঙ্গল বেঞ্চ।
দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊