প্রকল্পের চাপে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের অর্থদপ্তর, সমস্যায় চিকিৎসাকেন্দ্র সহ বিভিন্ন দপ্তর

চিকিৎসা কেন্দ্র সহ বিভিন্ন দপ্তর



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোলঃ 

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ফলে রাজ্যের অর্থ দপ্তরের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার জেরে রাজ্য সরকারের অন্যান্য ব্যাপারে কিছু কিছু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে দিতে পারছে না ঔষধের দাম ,যার ফলে সরকারি হাসপাতালে ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বিঘ্ন ঘটছে। সূত্রের খবর হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা সব মিলিয়ে মোট বকেয়া অর্থ পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। 

ওষুধ বিক্রেতাদের অভিযোগ যে এই বকেয়া ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য নয়। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই পরিমাণ পাচ্ছেন না। এর পরেও, কোভিডের সময় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এবার বকেয়া টাকার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে এখন তাদের পক্ষে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।ফলে বিপাকে পড়েছেন সরকারি হাসাপাতালে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসা আমজনতা ।

আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ঔষধের ঘাটতি দেখা দেওয়ার জেরে চাঞ্চল্য মহাকুমা জুড়ে। এই বিষয়ে জেলা সিএমওএইচ ডাক্তার শেখ মহম্মদ ইউনিস বলেন যে সমস্ত ভেন্ডারদের কাছ থেকে ঔষধ নেওয়া হয় তারা ঔষধের দাম বাড়ার জেরে ঔষধ সাপ্লাই দেয়নি কিছু ঔষধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান প্রেসার, সুগার এই সমস্ত ঔষুধ এখন ঘাটতি তবে নতুন কোরে টেন্ডার করে ঘাটতি মেটানো যাবে। 

এই বিষয়ে হাসপাতালে এক রুগীর আত্মীয় বলেন রাজ্যের কোষাগারে টাকার ঘাটতির জন্যই হয়তো হাসপাতালে ঔষধে সরবারহে টান পড়েছে। 

এক কথায় হাসপাতালে ঔষধ ঘাটতিতে বিপদের মুখে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা সাধারণ গরীব মানুষরা। এখন দেখার রাজ্য সরকার কত দ্রুততার সাথে এই সমস্যার সমাধান করে হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারে।