মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে প্রাইভেট শিক্ষকদের থানায় থাকার নির্দেশ ! 

মাধ্যমিক




করোনার দাপট কমতেই দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা যেমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলছে তেমনি বিভিন্ন রাজ্যেই ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা গুলোও শুরু হচ্ছে। আর এমন সময় উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর খবর।


মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে পরীক্ষার সময় প্রাইভেট শিক্ষকদের থানায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড এবং মোরেনার জেলা শিক্ষা দফতর থেকে।


সাধারণত এইধরনের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী জেরক্স সেন্টার গুলো বন্ধ রাখা হতো। কিন্তু এমন নির্দেশ! পরীক্ষা চলাকালীন প্রাইভেট শিক্ষকদের থানায় থাকার নির্দেশ ! এই ঘটনা এর আগে কেউ শুনেছে বলেও মনে করতে পারছেন না।




কিন্তু কেন এমন নির্দেশ ! আসলে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা, যা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত । মধ্যপ্রদেশের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষায় টোকা টুকির অভিযোগ রয়েছে বহু দিনের। পরীক্ষায় টোকা টুকি রুখতে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর। তারপরেও টোকাটুকি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।


এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে প্রাইভেট শিক্ষকরা পড়ুয়াদের টোকাটুকি করতে সাহায্য করেন। এর ফলে চিটিং মাফিয়াদের হাত থেকে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মধ্যপ্রদেশের জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।



পরীক্ষার প্রথম দিন জেলা শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশের পরেই বহু প্রাইভেট শিক্ষককে থানায় থাকতে দেখা যায়। জেলা শিক্ষা অধিকারিকের কাছ থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাওয়ার পরে প্রতিটি ব্লকে প্রাইভেট শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তালিকায় দেখা যায় ১৫০ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে যারা পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের টোকাটুকিতে সাহায্য করে থাকেন।


এ বিষয়ে জেলার ডিইও হরিভুবন সিং তোমর জানিয়েছেন, প্রাইভেট টিচাররা যাতে কোনওভাবে পড়ুয়াদের টোকাটুকি করতে সাহায্য না করতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


পরীক্ষার সময় অনেক প্রাইভেট শিক্ষকদের যেমন থানায় বসিয়ে রাখা হয়, তেমনি অনেককেই ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে বসিয়ে রাখা হয়।