করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে না উঠতেই বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে লাসা জ্বর !

Lassa Fever



করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে না উঠতেই বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে লাসা জ্বর ! (Lassa Fever)। লাসা জ্বরের জেরে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ফলে লাসা জ্বর নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে।


গত ১১ ফেব্রুয়ারি লাসা জ্বরের জেরে মৃত্যু হয় ৩ জনের। লন্ডনের বেডফোর্ডশায়ারের একটি হাসপাতালে ওই ৩ জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।


এই ভাইরাসের প্রথম কেস নাইজেরিয়ার লাসা নামক জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেই শহরের নামানুসারে এর নাম দেওয়া হয়েছে লাসা জ্বর। লাসায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার ১ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাসায় আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ১৫ শতাংশের।




রিপোর্টে প্রকাশ, লন্ডনের বেডফোর্ড শায়ারে যে ৩ জনের মৃত্যু হয় লাসা জ্বরের জেরে, তাঁরা প্রত্যেকে একই পরিবারের সদস্য। ওই ৩ জন সম্প্রতি আফ্রিকা থেকে লন্ডনে ফেরেন। আফ্রিকা থেকে লন্ডনে ফেরার পরপরই ওই ৩ জন লাসা জ্বরে আক্রান্ত হন। জানা যাচ্ছে, নাইজেরিয়াসহ পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়াতে শুরু করেছে লাসা জ্বর।


জানা যাচ্ছে, লাসা জ্বর অনেকটা ইবোলার (Ebola) মতো। খাবারসহ বিভিন্ন কারণে এই লাসা জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। পশ্চিম আফ্রিকা সিরিয়া লিয়ন, লাইবেরিয়া, গিনি, নাইজেরিয়ায় লাসা জ্বর আঞ্চলিক অসুখে পরিণত হয়েছে।

লাসা জ্বরের লক্ষণগুলি দেখা দিতে সাধারণত ১-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। হালকা লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে - সামান্য জ্বর, ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা। গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে - রক্তপাত, শ্বাস নিতে সমস্যা, বমি, মুখ ফুলে যাওয়া, বুকে-পিঠে-পেটে ব্যথা এবং শক লাগা।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পাঁচ জন আক্রান্তের মধ্যে একজন লাসা আক্রান্তের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি, লিভারের ক্ষতি করে এই ভাইরাস। ফলে মৃত্যুও হতে পারে। CDC-এর মতে, এই জ্বরের কারণে রোগী বধির হয়ে যেতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে, রোগী স্থায়ীভাবেও বধির হয়ে যেতে পারে।