হিমেল শীতে জমজমাট মুড়ি মেলা
রঞ্জিত ঘোষ,বাঁকুড়া:
রাঢ় বঙ্গের তথা রাঙ্গামাটির বাঁকুড়ার মানুষের রসনাতৃপ্তির খাদ্যতালিকায় যে সকল পদ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল মুড়ি । আর এই মুড়ি'কেই কেন্দ্র করে জেলার কেঞ্জাকুড়ায় বসে আস্ত এক মেলা ।
বাঁকুড়ার অন্যতম একটি প্রাচীন জনপদ হল ,জেলার ১নং ব্লকের কেঞ্জাকুড়া।যার পাশ দিয়েই প্রবহমান দ্বারকেশ্বর নদ ।আর সেই নদের পাশেই রয়েছে সঞ্জীবনী মাতার আশ্রম, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে মকর সংক্রান্তির দিন থেকে চলতে থাকে হরিনাম সংকীর্ত্তন ।আর এই কীর্ত্তনের সমাপন ঘটে মাঘ মাসের চতুর্থীর দিন । একটা সময় ছিল যখন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে সংকীর্ত্তন আস্বাদনে আসতেন ।সারারাতব্যাপী কীর্ত্তন শোনার পর সকালে বাড়ি ফেরার পালা। আর বাড়ি ফেরার পথে ,সাথে আনা মুড়ি-বাতাসা দ্বারকেশ্বরের জলে ভিজিয়ে খেয়ে পেটের ক্ষুধা দূর করতেন পুন্যার্থীরা । পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতো দ্বারকেশ্বর নদের চরে বসেই ।
প্রবহমানসময়ের সাথে সাথে তা যেন এক রীতির রূপ ধারণ করেছে । আর সেই রীতিতে আজও চিড় ধরেনি,বরং তা রূপ নিয়েছে এক মেলার।যার নাম হয়েছে 'মুড়ি মেলা' । অন্যান্য বছরের মতোই এবছরও পূর্ণ জৌলুসমায়তা দেখা গেল কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলায় । মাঘ মাসের চতুর্থীর সকালে দূর দূরান্তের অসংখ্য মানুষকে সামিল হতে দেখা গেল মেলায় । মুড়ি মেলায় মুড়ির সংগে ছিল সিংড়া, শসা, মূলো, পেঁয়াজ,টমেটো, নারকেল, ভিন্ন ধরনের নাড়ু, জিলিপি সহ একাধিক পদের সমাহার ।দ্বারকেশ্বর নদের চরে গামছা বিছিয়ে নানা পদের সাথে পাহাড় প্রমাণ মুড়ি নিয়ে চলল দেদার খাওয়া-দাওয়া,শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে চলল আড্ডা-হুল্লোড়, সেলফি তোলা । এভাবেই সম্পন্ন হল এবছরের বাঁকুড়ার মুড়ি মেলা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊