School Reopen: কবে শুরু হবে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা ? কি বলছে বিশেষজ্ঞ মহল ?

School Reopen



স্কুল খোলা নিয়ে ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে আদালতে। এ নিয়ে আদালতের কাছে সময়ও চেয়েছে রাজ্য।

বহুদিন ধরে স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ। মাঝখানে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস আরম্ভ হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ফের আরম্ভ হলেও নতুন করে করোনার জেরে এবছরের শুরু থেকেই বন্ধ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা।
রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছে অনেকেই। শুরু হয়েছে আন্দোলনও।এআইডিএসও-সহ বেশ কিছু সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। স্কুল খোলার দাবিতে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও দু-দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে। সব মিলিয়ে স্কুল কলেজ পুনরায় আরম্ভের দাবি জোরালো হচ্ছে। সকলের দাবি, মিটিং, মেলা, খেলা হলে কেন স্কুল খুলবে না?


School Reopen




মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানান হয়েছে, ‘স্কুল খোলার জন্য আগ্রহী রাজ্য সরকারও। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু, ১৫ বছরের নীচে কারও ভ্যাকসিনেশন হয়নি। শিশুদের বিষয়ে আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালু করছি।’

রাজ্য জানিয়েছে, স্কুল খোলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হচ্ছে। পরের শুনানি আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি হবে।


কিন্তু কি বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাক্সিন পর্ব চলছে। রাজ্য জানিয়েছে ৪৫ লাখ পড়ুয়া এখনো ভ্যাক্সিন পায়নি। অর্থাৎ যে ভ্যাক্সিন চলছে তা মূলত দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য। যেহেতু এখনো প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি সেক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণি  থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আনা কি ঠিক হবে? 

School Reopen

এমন ধরণের প্রশ্ন যখন  উঠে আসছে তখন সেই পরিস্থিতিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে পাড়ায় শিক্ষালয়। যদিও এখনো পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচী অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়, তবুও ছোটদের জন্য কি নিরাপদ হবে এই কর্মসূচী? সে  বিষয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। 

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন উঁচু ক্লাস গুলোর পঠন পাঠন অবিলম্বে শুরু করা হোক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্রমশ ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য কিন্তু ভেঙে পড়ছে। সেই সাথে ড্রপ আউটের সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

তবে বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে। সেদিকে এই রাজ্য ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যালয়ে পুনরায় পঠন পাঠন চালু রাখবে কিনা আর চালু রাখলেও তা নিচু ক্লাসের জন্য হবে কিনা তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।  


আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক নিজের স্কুলেই, কিন্তু মাধ্যমিক ! কি বলছে পর্ষদ !