শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক  শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের 

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ



আগামী ২৫ জানুয়ারী, মঙ্গলবার, দুপুর ১২ টায় কলকাতার সল্টলেকের করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ।


শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-"করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শিক্ষাব্যবস্থাকে। প্রায় দু' বছর পঠন পাঠনের মাধ্যমে যথাযথ মূল্যায়ন ব্যতিরেকে ছাত্র-ছাত্রীগণ উচ্চ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার গুণগতমান একেবারে তলানিতে। বর্তমানে যখন করোনা ভাইরাসের আক্রমনাত্মক ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে তখন গঙ্গাসাগর মেলা, পৌরসভা নির্বাচন, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, অন্যান্য সর্বক্ষেত্র যখন প্রায় স্বাভাবিক তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পঠন-পাঠন সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকদের বক্তব্য, এই ভাইরাস ছোটদের উপর তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। এমনকি বিশ্ব ব্যাংকের অধিকর্তা মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন বন্ধ করার কোন মানে নেই। এই অবস্থায় আমরা রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দপ্তরের কাছে জোরালোভাবে দাবি তুলে ধরছি যে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে(সর্বনিম্ন স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত) পঠন-পাঠন শুরু করা হোক।"


শুধু পঠন-পাঠন শুরু নয়, সেই সাথে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের দাবী "যতদিন না সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অফলাইনে পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে ততদিন কোন ধরনের ভোট, মেলা, অনুষ্ঠান চালু করা চলবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সবার প্রথম পঠন-পাঠন শুরু হোক। তারপর অন্য সবকিছু।"


শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন- "কোনভাবেই শিক্ষার মতো এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধ্বংস করে দেওয়া চলে না। দুরাভাষ, টেলিভিশন, অনলাইন শিক্ষা, কোনোটিই যে আজ শ্রেণি শিখনের বিকল্প নয়, তা দিনের আলোয় মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এখনো যদি এর গুরুত্ব উপলব্ধি না করে রাস্তায় নামতে না পারি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা তা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।"