BikanarExpress

বৃহস্পতিবার ৫ টা নাগাদ ময়নাগুড়ির দোমোহানি দিয়ে যাচ্ছিল ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, ৪০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল গাড়িটি। আচমকাই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির চারটি বগি। তিনটি বগি একেবারে উলটে যায়। একটি বগির উপর উঠে যায় আরেকটি। শোনা যাচ্ছে, জলে পড়ে গিয়েছে একটি বগি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ১২ টি কামরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।




রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। উলটে যাওয়া বগি কেটে বের করা হচ্ছে যাত্রীদের। শোনা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দুই যাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েইছে। সূত্রের খবর, প্রথমদিকে উদ্ধার হওয়া আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়িতে। পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে। 

ইতিমধ্যেই রেলের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। মৃত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের সন্ধান পেতে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির যাত্রীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে খবর। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ করতে বেশ বেগ পেতে হতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।

Bikaner Express



আহতদের আনা হচ্ছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ইতিমধ্যে রক্তদাতা সংগ্রহে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালেও চলছে চিকিৎসা। 

প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক চলাকালীন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দ্রুত আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি।