‘রেডিমেড শিশু পেয়ে কেমন অনুভূতি?’ প্রিয়াঙ্কাকে খোঁচা তসলিমার 







সম্প্রতি সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। সেখবর নিজেই জানিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই সোশ‍্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন কুড়োচ্ছেন দেশি গার্ল। তবে সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়াকে অন‍্য চোখেই দেখছেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন।




সোশ্যাল মিডিয়া প্রিয়াঙ্কার মতো সারেগেসির মাধ্যমে বাবা-মা হওয়া দম্পতিদের খোঁচা দিলেন তসলিমা। তসলিমা নাসরিনের এই পোস্ট নিয়ে আপাতত বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকে সম‍র্থন করলেও অনেকে গর্জে উঠেছেন। এর আগে নাম না করে সন্তানসম্ভবা বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণিকেও খোঁচা দিয়েছিলেন তসলিমা।




বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা এনিয়ে লিখেছেন, ্সারোগেসি বিজ্ঞানের চমৎকার একটা আবিস্কার বটে। তবে সারোগেসি ততদিন টিকে থাকবে, যতদিন সমাজে দারিদ্র টিকে থাকবে। দারিদ্র নেই তো সারোগেসি নেই। দরিদ্র মেয়েদের জরায়ু টাকার বিনিময়ে ন'মাসের জন্য ভাড়া নেয় ধনীরা। ধনী মেয়েরা কিন্তু তাদের জরায়ু কাউকে ভাড়া দেবে না। কারণ গর্ভাবস্থায় জীবনের নানা ঝুঁকি থাকে, শিশুর জন্মের সময়ও থাকে ঝুঁকি। দরিদ্র না হলে কেউ এই ঝুঁকি নেয় না।




গৃহহীন স্বজনহীন কোনও শিশুকে দত্তক নেওয়ার চেয়ে সারোগেসির মাধ্যমে ধনী এবং ব্যস্ত সেলিব্রিটিরা নিজের জিনসমেত একখানা রেডিমেড শিশু চায়। মানুষের ভেতরে এই সেলফিস জিনটি , এই নার্সিসিস্টিক ইগোটি বেশ আছে। এসবের উর্ধে উঠতে কেউ যে পারে না তা নয়, অনেকে গর্ভবতী হতে, সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হলেও সন্তান জন্ম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।




সারোগেসিকে তখন মেনে নেবো যখন শুধু দরিদ্র নয়, ধনী মেয়েরাও সারোগেট মা হবে, টাকার বিনিময়ে নয়, সারোগেসিকে ভালোবেসে হবে। ঠিক যেমন বোরখাকে মেনে নেবো, যখন পুরুষেরা ভালোবেসে বোরখা পরবে। মেয়েদের পতিতালয়কে মেনে নেবো, যখন পুরুষেরা নিজেদের পতিত-আলয় গড়ে তুলবে, মুখে মেকআপ করে রাস্তায় ত্রিভঙ্গ দাঁড়িয়ে কুড়ি- পঁচিশ টাকা পেতে নারী-খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করবে।




তা না হলে সারোগেসি, বোরখা, পতিতাবৃত্তি রয়ে যাবে নারী এবং দরিদ্রকে এক্সপ্লয়টেশানের প্রতীক হিসেবে।্