বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেলঃ শোকস্তব্ধ অধীর রঞ্জন চৌধুরী
বাংলার রাজনীতিতে নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের সারেঙ্গাবাদের ছেলে তিনি। ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi)প্রিয়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্নেহধন্য, সোমেন মিত্রর সতীর্থ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের বর্ষীয়ান নেতা তিনি।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী লেখেন, "সুব্রত মুখার্জি, আমাদের প্রিয় সুব্রত দা যার সাথে গত 1 লা নভেম্বরেও আমি কলকাতার পিজি হাসপাতালে দেখা করে এলাম, গল্প করলাম, সে আর নেই ভাবতে পারছি না। বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি ― প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে চলে গেল। একজন outstanding legislator, একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন হাসি খুশি, খোলামেলা অথচ বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নাম সুব্রত মুখার্জি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমিবেদনা রইলো।"
১৯৭১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। পঁচিশ বছর বয়সে পরের বছর আবার ভোট জিতে বিধায়ক হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় হলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর মন্ত্রিসভার তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী। ১৯৭৭-এর নির্বাচনে দেশজুড়ে কংগ্রেস বিরোধিতার হাওয়ায় বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন সুব্রত। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৮২ সালে বালিগঞ্জের বদলে জোড়াবাগান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সাল অবধি জোড়াবাগান কেন্দ্রেরই বিধায়ক ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ২ বছর আগে ১৯৯৬-এর নির্বাচনে সুব্রত লড়লেন চৌরঙ্গি থেকে জয়। ১৯৯৯ এ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা ILO-র মনোনয়ন দিতে চায়নি কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTUC। সেই দ্বন্দ্বের জেরে কংগ্রেস ছাড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। যোগ দেন তৃণমূলে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊