"সুব্রতদার শেষ যাত্রায় থাকা" ও "সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়": দলের বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

File Pic




দীপাবলির আনন্দে শোকের ছায়া চলে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন রাতে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর এমনটাই খবর। খবর পেয়ে বাড়ির পূজো ছেড়ে হাসপাতালে ছোটেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দেন, "সুব্রতদার শেষ যাত্রায় আমার থাকা সম্ভব নয়। সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।"



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যু আমার কাছে অনেক বড় দুর্যোগ। কিছু বলার মত পরিস্থিতিতে নেই। এত হাসিখুশি একজন মানুষ। পরিবার, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, দল, ক্লাব অন্তঃ প্রাণ একজন মানুষ। আর কেউ এমন হবে না। আমি গোয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে দেখা হল, হাসল। বলল আমি আবার জেলায় জেলায় যাব। সন্ধ্যেয় বলল ভাল আছেন। কালকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই বিরাট হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কিছু করা গেল না।"




শোকস্তব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "কিছুদিন আগে দার্জিলিংয়ে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কোনমতে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলাম।" তিনি জানান আজকে তাঁর মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে। কাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র ভবনে শায়িত থাকবে দেহ। যারা শেষ দেখতে চান সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান হবে। সেখান থেকে বাড়িতে যাবে, ক্লাবে যাবে দেহ। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল সুপ্রিমো জানান, ''আমি সেখানে থাকব না।"



অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে । গত সপ্তাহেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চলছিল চিকিৎসাও। ্কিন্তু সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে আজ রাত ৯টা ২২মিনিটে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। 



মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫। কার্ডিওলজির আইসিসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ধমনীতে স্টেন্ট বসানোর পরেও অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। 


তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এসএসকেএমে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল মাজি।