অবশেষে টান টান উত্তেজনার মধ্যে প্রধান পদ থেকে অপসারিত হলেন আবু আল আজাদ 


আবু আল আজাদ



কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশকে অমান্য করেই দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গীতালদহ-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবুয়াল আজাদকে তলবি সভার মধ্য দিয়ে অপসারণ করা হলো।  গ্রাম পঞ্চায়েতের দশ জন সদস্যের মধ্যে ছয় জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে মত দেন। তলবি সভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে এলো। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস । 

প্রসঙ্গত গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গীতালদহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সবগুলি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান হন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবু আল আজাদ। কিছুদিন যেতে না যেতেই গীতালদহ এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। 


সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কলকাঠি নাড়ানোর অভিযোগে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর বিরোধীতা করেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল দলের মধ্যে প্রচন্ড মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

প্রশাসনের তরফ থেকে এদিন গীতালদহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তলবি সভার দিন ধার্য করা হয়। এদিন সকাল থেকেই গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দু’শ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। 

এদিনের এই তলবি সভা পরিচালনা করেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও মদনমোহন মুর্মু। সভা শুরু হতেই দু’পক্ষের মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। 

এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বক্তার আলী বলেন, প্রধান আবু আল আজাদ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, এছাড়া তিনি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। এদিন তার প্রধান পদ খারিজ হয়ে যায়।

অপরদিকে অপসারিত প্রধান আবু আল আজাদ বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে তারা তৃণমূল দলের সদস্য হতে পারেন না। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও মদনমোহন মুর্মুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আবু আল আজাদ বলেন, তিনি নিয়ম মেনে সভা করেন নি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবো।

যদিও দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও মদনমোহন মুর্মু বলেন, গীতালদহ এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের যে সভা হয়েছে তা পঞ্চায়েত আইন মেনেই হয়েছে।