নজীর গড়লেন সানা -পাকিস্তানের ইতিহাসে এরকম ঘটনা এই প্রথম
ডা. সানা রামচাঁদ গুলওয়নি(Dr Sana Ramchand Gulwani)। ২৭ বছরের এই মেয়ে পাকিস্তানের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসেস-এ Central Superior Services (CSS) পাশ করেছেন। প্রথমবার তিনি এই পরীক্ষায় বসেন এবং প্রথমবারই সফল হলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এরকম ঘটনা এই প্রথম যেখানে একজন হিন্দু এই পরীক্ষায় পাশ করলেন। এবার তাঁর নিয়োগও হবে খুব শিগগির।
এই পরীক্ষা এত কঠিন কারণ মাত্র ২ শতাংশ পরীক্ষার্থী এতে পাশ করে। সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রশাসনিক পদে নিয়োগ হয়। এটি ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মতো।
সানা সিন্ধু প্রদেশের রুরাল সিট থেকে এই পরীক্ষায় বসেন। এই সিট পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (Pakistan Administrative Service) আওতায় পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই সানা নিজের সাফল্যে খুব খুশি। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমবারের চেষ্টাতেই পাশ করেছি বলে খুব ভালো লাগছে। যা চেয়েছিলাম, করতে পেরেছি বলে আরও ভালো লাগছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা তাঁকে প্রশাসনিক পদে নয়, মেডিকেল সার্ভিসেই দেখতে চেয়েছিলেন। ‘আমি বাবা-মার সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বপ্নও পূরণ করলাম। ডাক্তার হয়েছি, এবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেও যোগ দিতে চলেছি।’
সানা শ্রীমতি বেনজির ভুট্টো মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে পাঁচ বছর আগে ব্যাচেলর অফ মেডিসিনে গ্র্যাজুয়েট হন। তারপর তিনি সার্জন হিসেবে কাজ শুরু করেন। ইউরলজিতে মাস্টার ডিগ্রি পাবার পর সানার হাসপাতালের কাজ শুরু হয়।
সানা জানিয়েছেন- ‘আমার প্রথম ট্রেনিং হয় সিন্ধের শিকারপুর জেলার তালুকা হাসপাতালে। এখানকার চিকিৎসাব্যবস্থা খুব খারাপ। সামান্য ওষুধ, টিটেনাস, তাও থাকে না। রোগিদের ভর্তির ব্যবস্থাও নেই। তখনই সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্য নিয়ে আমার মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।’
আবার ওই হাসপাতালে শিকারপুরের ডেপুটি কমিশনার যখন আসেন, সানা লক্ষ্য করেছিলেন, সবাই তাঁকে সম্মান দিচ্ছে, কাজ করতে চাইছে, হাসপাতালের অসুবিধেগুলোকে মিটিয়ে এগোতে চাইছে। ‘তখই সিদ্ধান্ত নেয়, সিভিল সার্ভিসে জয়েন করার।’
আর সেই স্বপ্ন আজ সফল ।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks