বাইসনের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য




ধূপগুড়ি- মরাঘাটের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বাইসনের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য এলাকায়। সঙ্গিনী দখলকে নিয়ে  নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে মৃত্যু বলে  প্রাথমিক অনুমান বনকর্মী দের। 


জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মোরাঘাট রেঞ্জের  অন্তর্গত খট্টিমারি বিটের দুই নম্বর কম্পার্টমেন্ট জঙ্গল থেকে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাইসনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। 


জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় এদিন সকালে রুটিন টহলদারি সময় বন কর্মীদের নজরে আসে মৃত বাইসনটি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আহত হয়ে  দীর্ঘদিন এইভাবে  জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর ফলে  ইনফেকশন হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বাইসনটির।


 এদিকে মৃত বাইসন টকে জঙ্গলের মধ্যে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি বিষয়টি মরাঘাটের রেঞ্জার রাজকুমার পাল এবং এ সি এফ বিপাশা পারুলকে জানান খুট্টিমারি বিট অফিসার শুনিল রাভা। তবে সকাল থেকে মৃত বসইসন কে বিট অফিসার এবং কর্মীরা পাহারা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও বিকেল তিনটা পর্যন্ত দেখা মিলেনি রেঞ্জার অথবা এ সি এফ এর।


খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় পশু চিকিৎসক কে। বিকেল তিনটের পর  মোরাঘাট রেঞ্জের আধিকারিক বিপাশা পারুল এবং রেঞ্জার রাজকুমার পাল পৌছান। 


ময়না তদন্তের পর রিপোর্ট এলেই বাইসনটির মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা।


পশু চিকিৎসক শুভেন্দু মন্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে দুদিন আগে বাইসন টির মৃত্যু হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে সঙ্গিনী দখলকে নিয়ে লড়াইয়ের কারণেই মৃত্যু। বাইসনের যৌনাঙ্গের কাছে গভীর আঁঘাত পাওয়া গিয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর আসল কারন জানা যাবে।  


খুট্টিমারি বিটের আধিকারিক শুনিল রাভা বলেন, সকালবেলা বনকর্মীরা রুটিন টহল দারির সময় বাইসন টিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর আমাকে খবর দিলে আমি বন আধিকারিকদের বিষয়টি জানাই। তারা ঘটনাস্থলে এসে বাইসন টি-কে দেখে গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে লড়াই তেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।