বাজারে এলো খেলা হবে রাখি



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর:-

করোনা কারনে ভিড় কম রাখির দোকানে। বাজারে এলো খেলা হবে রাখি। করোনার কালে রাখির যোগান ঠিক থাকলেও,এবার রাখি বিক্রি মোটামুটি থাকায় সমস্যায় পড়েছেন শহরের রাখি ব্যবসায়ীরা।



সৌভ্রাতৃত্বের উৎসব রাখি বন্ধন,এই দিনটি ভাই ও বোনের দিন। বোনেরা এদিন দাদা ও ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দাদা ভাইদের দীর্ঘ জীবন কামনা করেন এবং ভাইরা তাঁদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি নেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন।


অন্যদিকে মহাভারতে উল্লেখিত আছে, একটি যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের হাতের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে শ্রীকৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন।এর পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব।এই রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে জড়িয়ে থাকে বেশ কিছু মানুষের কর্ম জীবন।


সৌভ্রাতৃত্বের উৎসব রাখি বন্ধন উপলক্ষে প্রতিবছর রাখি পূর্ণিমার বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই জম জমাট হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজার,তেঁতুল তলা বাজার। কিন্তু করোনা আবহে এবারের ছবিটা একে বারেই অন্য রকম।রাখির যোগান যে নেই তা বলা একদমই ঠিক হবে না।রাখির জোগান আছে যথেষ্টই কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা মোটামুটি।বলা যায় করোনার সামাজিক দূরত্ব যেন বেশি পড়েছে রাখির বাজারে। সবমিলিয়ে রাখীর উৎসবের আমেজ এবার অনেকটাই ফিকে বর্ধমান শহরে।