ডুয়ার্সে রাত ভোর বৃষ্টি ভাঙলো সেতু, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, পরিদর্শনে এসে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ বার্লার 






জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মন: 



ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে রাতভর চলা বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে হাতি নালায়, হাতি নালার জলের স্রোতে ভেঙ্গে পড়লো গয়েরকাটা থেকে হলদিবাড়ি চা বাগান হয়ে বিন্নাগুড়ি যাওয়ার রাস্তায় অবস্থিত লাল পুল।সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এই লাল পুল। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে প্রচুর মানুষ।বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাতি নালার ওপর দিয়ে যাতায়াত।এখনো পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক অধিকারীক এসে পৌঁছয়নি।ঘুর পথে যাতায়াত করছে গাড়ি।



গতকাল রাতে ডুয়ার্সে বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও ভুটান পাহাড়ে অতি ভারি বৃষ্টি হয়।ভুটান পাহাড়ের জল নেমে আসে হাতি নালায়।আর এই জলের স্রোত এতটাই ছিলো যে হাতি নালার ওপর লাল পুল ভেঙে পড়ে।এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রতিবছর বৃষ্টিতে হাতি নালার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বানারহাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুয়ার্সের আকাশে এখনো কালো মেঘ থাকায় ফের একবার ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।বৃষ্টি যদি বারে তবে দুর্ভোগের আশঙ্কা বাড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।



এদিন দুপুর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেনি। শেষমেষ বানারহাট ট্রাফিক গার্ড ও বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে রাস্তার দুইদিক ব্যারিকেট দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জণ বারলা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সীমা চৌধুরী। জণ বারলা এসে এই সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। 




পাশাপাশি কেন এত তাড়াতাড়ি এই পুল ভাঙলো সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাল্টা জন বাড়লাকে আক্রমণ করেছেন সীমা চৌধুরী। তিনি বলেন সবথেকে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত জণ বারলা নিজে, কাজেই ওনার মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। তবে এলাকাবাসীরা চাইছেন এইসব রাজনৈতক কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দ্রুত এই পুল পুনঃ নির্মাণ করা হোক।