উচ্চমাধ্যমিকে পাস করানোর দাবি নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ পড়ুয়াদের 





উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরেই রাজ্য জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ। পরীক্ষার রেজাল্টে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তোষ নয়তো বা পরীক্ষা না হলেও ফেল করায় স্কুল গুলিতে বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছে পড়ুয়াদের। আজ ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের পাঞ্চকাহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাশ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এক দল পড়ুয়া। পাস করানোর দাবি নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। একজন জানান, উচ্চমাধ্যমিকে তাদের ফেল করানো হয়েছে। পাস করানোর দাবি নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন ছাত্র-ছাত্রীরা।


করোনা আবহের জের ২০২১-র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর মাধ্যমিক ও একাদশের নম্বরের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এবছর মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে এককভাবে ৫০০-তে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা।


এদিন মহুয়া দাস জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯, পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের ছাত্রী। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। তিনি জানান, ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭জন পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে এবার মোট পরীক্ষার্থী ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২জন।


সাংবাদিক বৈঠকে সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, এ বছর উচ্চমাধ‍্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ৯৭.৬৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এর মধ‍্যে ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৭০ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হারও প্রায় সমান। রাজ্যের সমস্ত জেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশ ও তার বেশি। মাইনরিটিদের পাসের হার ৯৭.৪৬ শতাংশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে পাসের হার ৯৭.৩৩ শতাংশ। এছাড়া প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৩২৭ জন ছাত্রছাত্রী।


তিনি আরো বলেন, এ গ্রেড পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৫৮জন পরীক্ষার্থী।


করোনা আবহে মাধ্যমিকের মতো এবছর বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন। উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হলেও মাধ্যমিকের মতোই প্রকাশিত হয়নি মেধা তালিকা। মাধ্যমিকে সবাইকে পাশ করানো হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে সবাইকে পাশ না করানোয় ফেল করা ছাত্র ছাত্রীরা পাশ করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। যদিও, ইতিমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিক্ষোভ- অসন্তোষের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে স্কুল গুলির কাছে থেকে। পাশাপাশি অভিযোগ থাকলে তা জানানোর সুযোগও দিয়েছে বোর্ড।