পূজার আগেই স্থায়ীকরণের দাবীতে সোচ্চার রাজ্যের  পার্টটাইম শিক্ষকরা 

Part time school teachers & employees welfare association



Sangbad Ekalavya: 

রাজ্যের স্কুল পার্টটাইম শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ভীষণভাবে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। আর তাই তাদের দাবী সরকারিভাবে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি ।


Part time school teachers & employees welfare association এর দাবী- রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই অসহায় বঞ্চিত স্কুল পার্টটাইম শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। রাজ্যের বিদ্যালয়গুলােতে বহু শূন্য পদ রয়েছে, যেখানে তাদের মত এই পার্টটাইম শিক্ষকশিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বছরের পর বছর কাজ করে চলেছেন। প্রত্যেকেই উপযুক্ত যােগ্যতাসম্পন্ন। তারা রাজ্যে প্রায় ৬, ০০০ জন রয়েছেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে প্রায় ১০ বছরের বেশিসময় ধরে পঠন-পাঠন সহ যাবতীয় দায়িত্বপালন করে আসছেন।


কিন্তু বিশ্বমহামারী করােনার কারণে যে দীর্ঘ লকডাউন অবস্থা, সেই অবস্থায় এই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা মাসে যে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা মাইনে পান, তা দীর্ঘদিন ধরে অধিকাংশই সেই মাইনে থেকে বঞ্চিত।





এমন অবস্থাতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলের কাছের আবেদন জানাতে গেছেন Part time school teachers & employees welfare association.


সংগঠনের রাজ্য সভাপতি লক্ষীকান্ত মাইতি বলেন- গত 25 শে জুলাই শিক্ষা মন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করবেন , আর বিলম্ব নয় পুজোর আগেই স্থায়ীকরণ চাই এবং কলেজ পার্ট টাইম শিক্ষকদের মত 60 বছর বয়স পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি চাই।

এই সংগঠনের দাবী-
  • পার্টটাইম স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও স্থায়ীকরণ করতে হবে।
  • সরকার কর্তৃক সকলের আর্থিক দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।
  • কলেজে যেভাবে পার্টটাইম অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলাের ক্ষেত্রে পার্টটাইম শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সেভাবে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
  • আমাদের শিক্ষাদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • সকল বরখাস্ত স্কুল পার্টটাইম শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের দ্রুত পুনর্বহাল করতে হবে।
  • শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন অবকাশযাপনের সুযােগ দিতে হবে।