মমতাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ

Kolkata High Court




নন্দীগ্রামে নির্বাচন নিয়ে মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ (Kaushik Chanda)। নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা। সেই মামলা দায়িত্ব পান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। কিন্তু, তৃণমূলের তরফে বিচারপতি কৌশিক চন্দের সাথে বিজেপির যোগ রয়েছে বলে দাবি তোলে। শুরু হয় বিতর্ক। অবশেষে সেই মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ালেন বিচারপতি অশোক চন্দ।


এর আগে তৃণমূলের তরফে এই মামলায় বিচারপতির বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। নন্দীগ্রাম মামলায় বিচারপতি অশোক চন্দের এজলাস থেকে মামলা অন্যত্র সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী। আইনজীবী জানান, '২০২১ সালের এপ্রিলে কৌশিক চন্দকে স্থায়ী বিচারপতি করার জন্য চিঠি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তখন আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ওই বিচারপতি বিজেপির সক্রিয় সদস্য। অতএব তিনি পক্ষপাতদুষ্ট। পরিশেষে অনুরোধ করছি, পক্ষপাত এড়ানোর জন্য মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হোক।'


এদিন বিচারপতি অশোক চন্দ জানান, 'যদি একজন আইনজীবী কোনও দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে না। একজন বিচারপতিও সাধারণ মানুষ। তাঁরও কাউকে ভাল লাগতে পারে। তবে কাজের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।'


এই মামলা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের আপত্তির কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে বিচারপতি ও বিচারবিভাগের মানহানি হয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি। সেই টাকা বার কাউন্সিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে জরিমানার নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে দাঁড়ানোয় এখন মামলাটি যাবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনিই ঠিক করবেন এরপর কোন বিচারপতির এজলাসে মামলার শুনানি হবে।