পশ্চিমবঙ্গে ৩০০-র বেশি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দান করবে ICICI Foundation

পশ্চিমবঙ্গে ৩০০-র বেশি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দান করবে আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন



  • ১৪টা জেলার হাসপাতাল এই কনসেন্ট্রেটরগুলো পাবে
  • হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলে এবং দেশের প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকাগুলোতে ১৮০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দান করার উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবেই এই ব্যবস্থা

কলকাতা: 

আইসিআইসিআই গ্রুপের সিএসআর শাখা আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ (আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন) আজ ঘোষণা করল যে তারা পশ্চিমবঙ্গের আধা-শহর ও শহর এলাকার গুরুতর অসুখের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতিতে সাহায্য করতে ৩০০-র বেশি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দান করছে।

আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন রাজ্যের ১৪টা জেলার মহকুমার হাসপাতালগুলোকে বিনামূল্যে এই যন্ত্র দিচ্ছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা। এই দানের উদ্দেশ্য এইসব অঞ্চলের নাগরিকদের মেডিকাল এমার্জেন্সির সময় সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন জোগানো।

আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন ২০২১-২২-এ হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলে এবং দেশের প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকার হাসপাতালগুলোতে ১৮০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দান করার উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলোতে দান সেই উদ্যোগেরই অঙ্গ। আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন ১৭টা রাজ্যের ১৭৫টা জেলার ৭০০-র বেশি মহকুমার হাসপাতালে এই কনসেন্ট্রেটরগুলো বিনামূল্যে দিচ্ছে।

আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন বিপিএল মেডিকাল টেকনোলজিস আর ফিলিপস ইন্ডিয়ার কাছ থেকে এই উচ্চমানের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরগুলো নিয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর সারা দেশে বিস্তৃত পরিষেবা নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফলে যখন প্রয়োজন তখনই এই যন্ত্রগুলোর দক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এছাড়া ফাউন্ডেশন একটা পাওয়ার ব্যাক আপ সিস্টেমও দিচ্ছে, যাতে পাওয়ার ব্রেকডাউন হলেও কনসেন্ট্রেটরগুলো ফিল্টার করে অবিরাম মেডিকাল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরগুলোর ইনস্টলেশন ও সার্ভিসিং-এর বিশেষ স্কিল ট্রেনিং মডিউল যৌথভাবে তৈরি করার জন্য আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন বিপিএল মেডিকাল টেকনোলজিসের সাথে এক মেমোর‍্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-ও স্বাক্ষর করেছে। সেই মডিউল আইসিআইসিআই অ্যাকাডেমি ফল স্কিলসের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অ্যাকাডেমি আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশনের এক শাখা, যা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির যুবক-যুবতীদের নিখরচায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়।

শ্রী সৌরভ সিং, প্রেসিডেন্ট, আইসিআইসিআই ফাউন্ডেশন ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ, বললেন “আইসিআইসিআই গ্রুপের রাষ্ট্র গঠনে এবং নাগরিকদের ভাল থাকায় অবদান রাখার দীর্ঘ উত্তরাধিকার আছে। অতিমারী শুরু হওয়ার সময় থেকে আইসিআইসিআই গ্রুপ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৫১টা জেলায় ত্রাণের কাজ শুরু করেছে। দেশকে অতিমারীর সাথে লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য গ্রুপ ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। দানের মধ্যে আছে ‘পিএম কেয়ারস ফান্ড’-এ গ্রুপের অবদান, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে ভেন্টিলেটর, স্যানিটাইজার, মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষার জিনিসপত্র দেওয়া এবং দেশের একাধিক অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে ফাউন্ডেশন ১৭টা অক্সিজেন প্ল্যান্ট, প্রায় ১০০টা

ভেন্টিলেটর দান করেছে এবং ৩০টা অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে। এবার হিমালয়ের উপত্যকা অঞ্চলে এবং দেশের প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকাগুলোর মহকুমার হাসপাতালে ১৮০০ উচ্চমানের অক্সিজে কনসেন্ট্রেটর দান করছে।

এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ক্রিটিকাল এমার্জেন্সি হেলথ সাপোর্ট এই অঞ্চলগুলোর ছোট শহরের বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা। আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগ অতিমারীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হয়ে উঠবে, বিশেষ করে আমাদের দেশের দুর্গম এবং প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে।

বিপিএল মেডিকাল টেকনোলজিসের সাথে আমাদের জুটি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির যুবক-যুবতীদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সার্ভিস করতে শেখানোয় সাহায্য করবে। কোভিড-১৯-এর সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের সময় সারা দেশে এক বিরাট সংখ্যক অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলো যত দিন কাজ করবে ততদিনই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করার দরকার হবে। অতএব এই যন্ত্রগুলোর সার্ভিসিং একটা নতুন জীবিকার সুযোগ এনে দিয়েছে।

এই স্কিল ট্রেনিং মডিউলগুলো অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের সার্ভিসিং শেখানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি, যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব পূরণ করবে এবং পিছিয়ে পড়া যুবক-যুবতীদের জীবিকার সন্ধান দেবে।”

About ICICI Foundation for Inclusive Growth


ICICI Foundation for Inclusive Growth (ICICI Foundation), the CSR arm of the ICICI Group, has been engaged in the areas of skill development and sustainable livelihoods, environment conservation, financial inclusion, healthcare and education across urban and rural India. Through its three vehicles-- ICICI Academy for Skills, ICICI Rural Livelihood Programme and ICICI Rural Self Employment Training Institutes-- the Foundation has imparted training to over 5.80 lakh individuals to help them earn sustainable livelihood.



Certain statements in this release relating to a future period of time (including inter alia concerning our future business plans or growth prospect s) are forward - looking statements intended to qualify for the 'safe harbor' under applicable securities laws including the US Private Securities Litigation Reform Act of 1995. Such forward - looking statements involve a number of risks and uncertainties that could cause actual results to differ materially from those in such forward - looking statements. These risks and uncertainties include, but are not limited to statutory and regulatory changes, international economic and business conditions; political or economic instability in the jurisdictions where we have operations, increase in non - performing loans, unanticipated changes in interest rates, foreign exchange rates, equity prices or other rates or prices, our growth and expansion in business, the adequacy of our allowance for credit losses, the actual growth in demand for banking products and services, investment income, cash flow projections, our exposure to market risks, changes in India’s sovereign rating, as well as other risks detailed in the reports fi led by us with the United States Securities and Exchange Commission. Any forward looking statements contained herein are based on assumptions that we believe to be reasonable as of the date of this release. ICICI Bank undertakes no obligation to update forward - looking statements to reflect events or circumstances after the date thereof. Additional risks that could affect our future operating results are more fully described in our filings with the United States Securities and Exchange Commission. These filings are available at www.sec.gov

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ