লাইব্রেরিয়ান (librarian) পদে নিয়োগ নিয়ে সুখবর!
পশ্চিমবঙ্গ সরকার গত বছর সংক্রমণের শুরুর সময় সংক্রমণের হার রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল। এই বছরও তাঁর অন্যথা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে সব বন্ধ থাকার ফলে বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
কর্মসংস্থানের অভাব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। যথাযথ শিক্ষা লাভ করেও চাকরি পাচ্ছিল না অনেক ছেলে মেয়ে, আর এই করোনা পরিস্থিতির পর চাকরির বাজার আরও নিম্নগামী।
রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। নতুন করে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বেরোয়নি কোনো বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু এর মধ্যেই চাকরি প্রার্থীদের জন্য রয়েছে সুখবর।
লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal School Service Commission)। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর লাইব্রেরিয়ান পদে এক হাজারেরও বেশি শূন্য পদ খালি রয়েছে। পরিস্থিতি যাচাই করতে খুব দ্রুত বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুলগুলিতে লাইব্রেরিয়ান পদে কত গুলি পদ খালি রয়েছে সেটা জানতে হবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে।
ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (West Bengal School Service Commission) নিয়োগ নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।রাজ্যের স্কুল গুলোতে ২০১২ সালে শেষবারের জন্য লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য,২০১২ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, এবং ২০১৩ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal School Service Commission) এক বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে যদি লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ হয়, তবে নিয়োগ হবে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে লাইব্রেরি সায়েন্সে (Library science) কোর্স করা থাকলে তবেই আবেদনযোগ্য হবেন।
প্রাথমিকভাবে জানতে পাড়া যাচ্ছে, শূন্য পদ এক হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু যেহেতু আট বছর পর লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ হচ্ছে, তাই শূন্য পদ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে শূন্য পদের তালিকা শিক্ষা দপ্তর মারফত স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পৌঁছলেই দ্রুত নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊