জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান 



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: পশ্চিম বর্ধমান: বুধবার বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা  শাসকের অফিসের সামনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ স্মারকলিপিপ্রদান করা হয় । 

সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শিবরাম বর্মন,কুলটি বিধায়ক অজয় পোদ্দার  বারাবনির বিজেপির যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অরিজিৎ রায়, লক্ষন ঘরুই সহ অনেকে।

এদিন শিবরাম বর্মন জানান যে বিগত 2 তারিখ বিধানসভা ভোটের ফলাফল হবার পরেই সারা রাজ্য জুড়ে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তার বাইরে আসানসোলও বাদ পড়েনি ।সকলের জানা 5 রাজ্যে ভোট হয়েছিল কিন্তু কোথাও কিছু সন্ত্রাস হয়নি কেবল মাত্র আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এই সন্ত্রাস হয় । আর পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তৃণমূলের তাঁবেদারি করছে। আমাদের বহু বিজেপির নেতা কর্মী বাড়ি ছাড়া ।ভোটের ফলাফল হবার পরেই তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির কর্মীদের মারধর করে এবং মহিলাদের উপর অত্যাচার চালায়। যারফলে বহু বিজিপি কর্মী এখনো ঘর ছাড়া। বহু বিজেপির নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।বহুকর্মী কাজহারা নাখেয়ে অনাহারে দিন যাপন করছে  ভয়ে তারা বাড়ী আসতে পারছেনা।তৃণমূলের তরফে বলাহচ্ছে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে কিন্তু বাড়িতে ডেকে পুনরায় তাদের মারধরের ভয় দেখানো হচ্ছে ।

তিনি আরও বলেন- "এর আগেও আমরা জেলাশাসক এর অফিসে জানিয়েছিলাম কিন্তু এখনো কোন বাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি দোষীদের বিরুদ্ধে।তাই পুনরায় আমরা জেলাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে গেলাম ,ব্যবস্থা না নিলে বড় আন্দোলন হবে।" 

জেলাশাসক বিভূ গোয়েল  সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি।

তৃণমূলের তরফে জানানো হয় যে তারা কেবলমাত্র মিডিয়ার সামনে আসার জন্য এসব করে বেড়াচ্ছে আসলে তাদের আর কোন অস্তিত্ব রাজ্যে টিকবেনা তাই তারা এসব করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে । আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অতীতের ইতিহাস বলছে, তিনি যেখানেই জিতেছেন, সেই এলাকার সঙ্গে যোগোযোগ রাখেননি। 

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবদাসন দাসু জানান যে,বাবুল সুপ্রিয় মহাশয়কে সবাই পরিয়াযী সাংসদ বলে। ভোটের আগে এলাকায় আসেন। ভোট ফুরোলে পালিয়ে যান।উনি নিজেও জানেন,এলাকায় তাঁর দলের নেতারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে অশান্তি পাকাচ্ছে।