ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব, মমতার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা






ভবানীপুরে একুশের বিধানসভায় বিপুলভোটে জয়লাভ করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ‍্যায়। এবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। আজই বিধানসভায় নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিতে পারেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সিদ্ধান্তেই পদত‍্যাগ করছেন তিনি এমনটাই খবর। 




একুশের নির্বাচনে বিপুল সংখ‍্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু নন্দীগ্রাম সিট থেকে হেরে গেছেন মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। যদিও এই আসন নিয়ে বিতর্ক অব‍্যাহত। নন্দীগ্রামে জয়লাভ করেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। হারলেও মুখ‍্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, ছয়মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হতে হবে তাঁকে। ফলে চলছিল জল্পনা। কোন আসনে দাড়াবেন নেত্রী। শোভনদেবের পদত‍্যাগ কার্যত সেই জল্পনার অবসান ঘটালো। 




এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে এই নজরকাড়া আসন থেকে জয়ী হয়ে তিনি এবারও মন্ত্রিসভায় সামিল হয়েছেন। তাঁর হাতে রয়েছে কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্ব। 




২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসনে প্রার্থী হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একুশে লড়েছেন নন্দীগ্রামে। হেরে যাওয়ায় ফের ভবানীপুরে উপনির্বাচনে লড়বেন বলেই আপাতত মনে করা হচ্ছে।