শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে কি করে বুঝবেন? কি করবেন? জানুন বিস্তারিত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ। চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। বাড়ছে সংক্রমণ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। বাংলাতেও শিশুদের মধ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। অগ্রিম সতর্ক হতে রাজয স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।
শিশু করোনা আক্রান্ত হলে কি করে বুঝবেন-
৮ বছরের ঊর্ধ্বে মাইল্ড করোনা হলে স্বাদ-গন্ধ চলে যেতে পারে।
অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫-এর নিচে নামলেই তা মারাত্মক।
ডায়েরিয়া আর বমি হতে পারে।
খাবারের ইচ্ছা চলে যেতে পারে।
শরীরে করোনা মারাত্মক প্রকোপ ফেললে হার্টবিট সমস্যা হতে পারে।
শিশু করোনা আক্রান্ত হলে কি করবেন-
স্বল্প এবং তার চেয়ে সামান্য বেশি করোনার প্রকোপ থাকলে প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্তত চার-পাঁচ লিটার জল খাওয়ান।
ডায়েরিয়া হলে ORS খেতে হবে।
ভিটামিন C, ও জিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে। ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার উপর জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।
জ্বর এলে প্যারাসিটামল ১৫ এমজি দিতে পারেন। দিনে পাঁচবারের বেশি যেন এই ওষুধ না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৮ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে।
বাচ্চার নাক বন্ধ হলে স্যালাইন স্প্রে দিতে হবে।
পেট খারাপের জন্য অ্যান্টি-বায়োটিক না দিয়ে প্রো-বায়োটিক দিতে হবে।
বমি হলে ডোমপেরিডোন গোত্রের ওষুধ দিতে হবে।
জল খাইয়েও যদি ইউরিন কমতে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
করোনা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে ডেক্সামিথাজোন .১৫ এমজি ১৪ দিন খেতে হবে।
সাধারণ ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের প্রয়োজন নেই।
স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশের নিচে না নামলে বাচ্চাকে স্টেরয়েড দেবেন না।
নেবুলাইজার দিতেও বারণ করা হচ্ছে।
আগে থেকে হাঁপানি থাকলে স্যালভুটামল গোত্রের ওষুধ দিতে হবে।
ইউরিন কমে যাওয়া, জ্বর ফিরে ফিরে আসা, বাচ্চার খাওয়া কমে যাওয়া, বাচ্চা বারবার ক্লান্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊