স্পিনির কাছে ব্যবহৃত গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি করছে ডিজিটাল ব্যবস্থা, গাড়ি কেনার এবং বেচার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন #WithExtraCare
৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা দামের রেঞ্জে প্রি-ওনড গাড়ির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে
ভারতের অগ্রগণ্য ব্যবহৃত গাড়ির প্ল্যাটফর্ম স্পিনিতে সংযোগহীন ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করার ফলে প্রি-ওনড গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। ফুল স্ট্যাক ব্যবহৃত গাড়ির প্ল্যাটফর্ম হিসাবে স্পিনি ২০২০ পর্যন্ত ৩৮% রেফারাল পারচেজ রেটসহ ৯,১০০-র বেশি ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করেছিল। ৭০%-এর বেশি ব্যবহৃত গাড়ি কেনেন ৪০ বছরের কম বয়সের মানুষ।
জানুয়ারি ২০২১ থেকে প্রতি মাসে বিক্রি হওয়া ১,২০০ ব্যবহৃত গাড়ির ৭০% বিক্রি হয়েছে টেস্ট ড্রাইভ আর ডেলিভারির মাধ্যমে। এই তথ্য স্পিনির গাড়ির গুণমান এবং অনলাইনে পাওয়া তথ্যের উপর ক্রেতাদের বিশ্বাসের প্রমাণ। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ৮০% গাড়ি হোম ড্রাইভের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে। ৭০% গাড়ির ক্রেতাই প্রথমবার গাড়ি কিনলেন, আগে গণপরিবহণ আর শেয়ারের ট্যাক্সির উপর নির্ভর করতেন। ২০%-এর বেশি ক্রেতা মহিলা।
স্পিনি প্রথম কোম্পানি, যারা সম্পূর্ণ সংযোগহীন গাড়ি বিক্রি এবং কেনার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিয়েছিল #WithExtraCare- এর মাধ্যমে। এই উদ্যোগে আছে হোম টেস্ট ড্রাইভ আর হোম ডেলিভারি। স্পিনি ৩৬০ হল এই শিল্পক্ষেত্রে প্রথম চালু হওয়া একটা ফিচার। এই ফিচার প্রত্যেক শহরের স্পিনি অ্যাশিওর্ড গাড়িগুলোকে সবিস্তারে দেখার সুযোগ দেয়। গাড়ির বিক্রেতাদের স্পিনির সেলরাইট সেরা দাম, তাৎক্ষণিক দর, বিনামূল্যে নিজের দরজায় গাড়ি পরিদর্শন করানো এবং দালাল ছাড়াই তাৎক্ষণিক পেমেন্টের নিশ্চয়তা দেয়।
নতুন নর্মালে ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা দামের প্রি-ওনড গাড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। ২০২০-র তুলনায় গাড়ির সন্ধান ৪০০% বেড়েছে আর ১০% মহিলা ক্রেতা বেড়েছে ১০%। কোম্পানির সমীক্ষা অনুযায়ী সংযোগহীন অভিজ্ঞতাই ৭১% ক্রেতার স্পিনিকে বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ। তাছাড়া গুণমান আর গাড়ির ন্যায্য ও নির্দিষ্ট দাম তো আছেই।
এই মুহূর্টে স্পিনির হাব রয়েছে নয়ডা, দিল্লি (দুটো), গুরগাঁও, পুনে, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, চেন্নাই, আমেদাবাদ আর কলকাতায়। এক রিপোর্টের মতে ব্যবহৃত গাড়ির বাজার ২০২২ সালের মধ্যে বার্ষিক ৭.২ মিলিয়ন ইউনিট পর্যন্ত পৌঁছবে। ২০২০ সালে ডেলয়েটের করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী ৭৭% ক্রেতা গণপরিবহণের ব্যবহার কমাতে চান, ৭০% অনলাইনে গাড়ি ডাকার বিকল্পটা এড়াতে চান আর ৭৯% গাড়ির মালিক হতে চান। কিন্তু ব্যবহৃত গাড়ির বিভাগে বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতা সংক্রান্ত বাধা পেরোন দরকার।
স্পিনি সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা নীরজ সিং-এর মতে আগে করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ৪% লোক ব্যবহৃত গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতায় সন্তুষ্ট ছিল। একথা জানতে পারার ফলে স্পিনি বিশ্বাস, স্বচ্ছতা এবং সহজতাকেই তার ক্রেতার অভিজ্ঞতার মূল করে তুলতে চেয়েছিল। স্পিনির ফুল স্ট্যাক মডেলের মানে হল প্রত্যেক গ্রাহক একটা গাড়ি কেনার বা বেচার সময় এই প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেকটা স্তরের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব পান। একজন গ্রাহক পোর্টালে প্রথমবার আসার পর থেকে টেস্ট ড্রাইভ এবং ফাইন্যান্সিং বিকল্প পর্যন্ত সবকিছু স্পিনি সামলায়।
“অন্যান্য শহরে আমাদের কাজ চালু করার এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল কেনা ও বেচার অভিজ্ঞতার গুণমান বজায় রাখা এবং বৃদ্ধি করা। গুণমানের উপর জোর দেওয়া এবং ক্রেতাকেন্দ্রিক পরিষেবা ব্র্যান্ড হিসাবে আমরা যে অতিরিক্ত যত্ন নিই, তা-ই আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা আর গ্রাহকের ভরসা পাইয়ে দিয়েছে। চলতি অতিমারীতে এটা পরিষ্কার যে প্রত্যেকটা সিদ্ধান্তই কঠোর নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই নিতে হবে। স্পিনি এই শিল্পক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের মানদণ্ড স্থির করেছে। ফলে আমাদের ক্রেতাদের আনন্দদায়ক গাড়ি কেনাবেচার অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।”
গুণমান ও বিশ্বাসের প্রশ্নগুলোর মোকাবিলা করতে এবং অতিমারী সংক্রান্ত ভাবনা দূর করতে স্পিনি অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে আছে স্পিনি ৩৬০, ফিক্সড প্রাইস অ্যাশিওরেন্স, স্পিনি বাইব্যাক, ফাইভ-ডে মানি-ব্যাক গ্যারান্টি এবং ১ বছরের ওয়ারেন্টি। এগুলো সুরক্ষিত, সহজ, সংযোগহীন গাড়ি কেনাবেচার অভিজ্ঞতার নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে। ফলে গাড়ির মালিকানা ভাড়া/সাবস্ক্রিপশন মডেলের চেয়ে বেশি সাশ্রয়কারী আর সম্ভব হয়ে উঠেছে।
ফিক্সড প্রাইস অ্যাশিওরেন্স দাম নিয়ে অপ্রয়োজনীয় দরাদরি আটকায়, ফলে একটা ব্যবহৃত গাড়ি কেনার আগের কথাবার্তার পরিমাণ কমে যায়। এটা শিল্পক্ষেত্রের ভোল বদলে দেওয়ার মত ব্যবস্থা, কারণ সারা পৃথিবীতে বাজারের এই বিভাগে দরাদরিই নিয়ম। স্পিনি বাইব্যাক কেনার দিন থেকে ৬, ১২ বা ১৮ মাস পর্যন্ত গ্যারান্টিযুক্ত পুনর্বিক্রয় মূল্য দেয়। বিক্রেতারাও তাঁদের পুরনো গাড়ির সেরা মূল্য পান। বাইব্যাক মূল্য হিসাব করা হয় গাড়ির বয়স, মেক, জ্বালানির ধরন আর বাজারের প্রবণতার উপর ভিত্তি করে।
ক্রেতারা টাকা এবং গাড়ির ডেলিভারি বাড়িতে বসেই পেতে পারেন, তবে প্রথম ধাপ হল অনলাইন তালিকা দেখে ১,২০০ পরিদর্শন হওয়া, প্রি-ওনড গাড়ির (২০১২ বা তারপরে তৈরি) মধ্যে থেকে গাড়ি পছন্দ করা। একটা ভার্চুয়াল টুর আপনাকে বাড়িতে বসেই জেনেশুনে পছন্দ করার সুযোগ দেয়। এরপর ক্রেতা একটা সম্পূর্ণ স্যানিটাইজড গাড়ির হোম টেস্ট ড্রাইভ বুক করেন। গাড়িটার সঙ্গে থাকে একটা ক্রেতা সুরক্ষা কিট। ২০০ পয়েন্টের ইন্সপেকশন চেক গাড়ির সমস্ত অংশের স্বচ্ছতা ও গুণমান নিশ্চিত করে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেমেন্টের তথ্য সহ আপলোড করা হয়। পেমেন্ট হয়ে গেলে গাড়িটা ক্রেতার দরজায় পৌঁছে দেওয়া হয় ‘বিনা প্রশ্নে ৫ দিনের মানি ব্যাক গ্যারান্টিসহ’।
এদিকে ব্যবহৃত গাড়ির বিভাগে অনুকূল বাতাস গত কয়েক বছরে ক্রমশ জোরদার হয়েছে। এপ্রিল ২০২০-তে অটো সেক্টরের BS-VI বিধিতে চলে যাওয়া প্রি-ওনড গাড়ির মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা ব্যবহৃত গাড়ির চাহিদা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊