এবছরেরও ঈদের বাজার ফাঁকা! মাথায় হাত দোকানিদের





ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসব ঈদ উল ফিতর। আরবী মাসের রমজান মাসে ৩০ দিন রোজা রাখার পর আসে পবিত্র উৎসব ঈদ উল ফিতর। রমজানের শুরু থেকেই শুরু হয় ঈদের খুশি। সেহরি খেয়ে পরম করুণাময় আল্লাহের কাছে ইবাদত করে ইফতারের মধ্য দিয়েই খুশির রেশ থাকা আপামর মুসলিমের কাছে। ৩০দিনের রোজা শেষে সকলে মিলে ঈদের নামাজ, কোলাকুলি, আনন্দ, উৎসবে মেতে উঠে মানুষ। সেই উৎসবে সামিল হয় অন্যান্য ধর্মের মানুষেরাও। কিন্তু বিশ্ব এখন করোনা কড়াল গ্রাসে। ১৯-র শেষ ভাগ থেকে করোনা মহামারী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বের অলিতেগলিতে বাদ যায়নি ভারতও। এমনকি বাংলাতেও করোনার গ্রাস অব্যাহত। গত বছরেও করোনার দাপট থেকে বাঁচতে ঘরে বসেই আনন্দ উৎসব পালন করেছিল মানুষ। আর সেই একই পরিস্থিতি এবছরেও।




প্রতি বছর ঈদের আগে বেশ জমে ওঠে বাজার ঘাট। ঈদের কেনাকাটা করতে ছোট থেকে বড় সকলেই বাজারমুখী হয়। কিন্তু গত বছর থেকে সেই বাজারে এসেছে টান। করোনা স্তব্ধ করেছে সব কিছুই। দুই বছর থেকে বন্ধ ঈদের বাজার।চাহিদা থাকলেও করোনার কারণে আরব দেশের খেজুর এই বার আসেনি জলপাইগুড়ির ঈদের বাজারে এমনটাই খবর। পবিত্র রমজান মাসের শেষে এই সপ্তাহে হতে চলেছে ঈদ।কিন্তু এই বার ঈদের বাজার একেবারেই ফাকা। যেমন বিক্রি নেই ,তেমনি আরব দেশের খেজুরসহ অন্যান্য জিনিস পত্র ও আসেনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলোতে।




আর মাত্র দুদিন বাকি পবিত্র ঈদের। কিন্তু এই বার করোনার কারণে সেই বাজারে পড়েছে ভাটা।ঈদের বাজারে বিক্রি নেই।দোকান পাঠও অনেক বন্ধ। একেবারেই ফাকা। সেমাই ,সুগন্ধি, আতর, টুপি, বাদাম, নারকেল , কারুকার্য বিশিষ্ট ডিস ও রকমারি ঈদের জিনিস ও এই বার বাজারে আসলেও বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছে দোকানিরা। সব মিলিয়ে করোনার কারণে এই বারও মুখভার দোকানিদের। ঈদপালনকারী মানুষদের বক্তব্য ছোট আকারেই সরকারি বিধিমেনেই গত বছরের ন্যায় এই বছরও ঈদ পালন হবে। তবে ঈদ পালন হলেও ঈদের আনন্দে ভাঁটা, যার একমাত্র কারণ করোনা।